একদিন কেটে গেল বিরাট কোহলির আউট নিয়ে বিতর্ক থামছে না । কেউ কেউ মনে করেন হর্ষিত রানার যে বলে বিরাট আউট হয়েছেন সেটার গতি নিচের দিকে ছিল তাই সেটি নো বল নয় । আম্পায়ার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেউ কেউ মনে করেন বলটা বিরাটের কোমরের উপর দিকে ছিল তাই নো বল নয় । অনেকে আবার আইন বদলানোর কথা বলেছেন । ইডেনের টিচারের কাছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এক রানে হেরে যায়। অনেকেই মনে করেন বিরাট ক্রিজে থাকলে এই ম্যাচ হারতো না তারা । বিরাট কোহলির বিতর্কিত আউট নিয়ে কেকেআর উইকেট কিপার সল্টের মন্তব্য, এটা নিয়ে দু’রকম মতামত হয়েছিল সকলেই বিষয়টি জানে।। এবারের আইপিএলে নো বলের রিভিউ নিয়ে তিনি কোন মতামত দিতে চান না। সল্ট আরো বলেছেন , যে প্রযুক্তি আইপিএলে ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়ে মতামত দেওয়ার সময় এখনো আসেনি অন্তত আরো কিছুদিন দেখার দরকার। অন্তত একজন ক্রিকেটার হিসেবে বলতে পারি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার যে কোন ক্ষেত্রে তুলনায় নিখুঁত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে এটা অবশ্যই একটা ভালো দিক। আউট হওয়ার পর আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যায় কোহলিকে। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে ব্যাট দিয়ে তিনি ডাস্টবিন উল্টে ফেলে দেন। এর জন্য জরিমানাও করা হয় তাকে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তার ম্যাচ ফি র ৫৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। আইপিএলের শৃঙ্খলা বিধির ২এর ৮ ধারা অনুযায়ী কোহলির অপরাধ লেভেল ওয়ান পর্যায়ের । যদিও কোহলি নিজের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। নতুন হক আই দেখিয়েছে, বিরাট যদি ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকতেন তাহলে বলটি তার কোমরের নিচেই থাকতো । তবে নভেজাৎ সিং সিধুর মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার পরিষ্কার বলে দিয়েছেন কোহলি আউট ছিলেন না। মোহাম্মদ কাইফের মতে, বলটা হর্ষিতের হাত ফসকে বেরিয়ে গেছিল এবং বিমার ছিল। । এবি ডিভিলিয়ার্স এর মতো ক্রিকেটার মনে করেন এই আইনটা খুব অস্পষ্ট যার ফলে বিতর্ক হওয়া স্বাভাবিক। ডিভিলিয়ার্স ও সিধুর মতে এই আইনের পরিবর্তন করা দরকার । আরেক প্রাক্তন ক্রিকেটার পাঠান মনে করেন বলটা সম্পূর্ণ বৈধ ছিল । তার ব্যাখ্যা আইপিএল শুরুর আগে ভারতের বোর্ড প্রত্যেক ক্রিকেটারের ওজন ও কোমরের উচ্চতা মেপে নিয়েছে। ফলে যে তথ্য অনুযায়ী প্রযুক্তি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা ভুল হতে পারে না, বিরাট আউট ছিল । ব্রায়েন লারা মনে করেন এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া উচিত
Discussion about this post