কলকাতার অধিনায়ক নিজেই ভাবতে পারেন নি প্রথমে ব্যট করে তার দল ২৭০ রান পার করে যাবে। সুনীল নারাইনেকে নিজের মত খেলার ছাড় দিয়ে রেখেছে দল, তারই সুফল পাচ্চে কলকতা। দিল্লিকে হারিয়ে আইপিএলে টানা তিন ম্যাচে জয় পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বুধবার বিশাখাপত্তনমে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে কেকেআরের সহজ জয়ের নেপথ্যে দলগত সাফল্য থাকলেও অনেকেই ব্যাট বা বল হাতে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করলেন। তাদের মধ্যে তিন জনের অবদান আলাদা করে উল্লেখ করতেই হয়। এবং সবার প্রথমে যার নাম আসে তিনি সুনীল নারাইন। ওপেন করতে নেমে অনবদ্য ব্যাটিং করলেন নারাইন।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে শতরান হাত ছাড়া করলেন ১৫ রানের জন্য। ৩৯ বলে করলেন ৮৫ রান। তাঁর ব্যাট থেকে বিশাখাপত্তনমের ২২ গজে এল ৭টি চার এবং ৭টি ছক্কা। তাঁর দাপটে একটা সময় অসহায় দেখাচ্ছিল দিল্লির বোলারদের। মাঠের সব দিকে শট মারলেন নারাইন। দিল্লির বিরুদ্ধে কেকেআরের জয়ের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখল নারাইনের ইনিংস। পরে বল হাতেও সাফল্য পেলেন। ২৯ রান দিয়ে নিলেন ১ উইকেট। নিঃসন্দেহে এ দিনের ম্যাচের অন্যতম নায়ক তিনি। এরপর যার নাম আসে তিনি হলেন অঙ্গকৃশ রঘুবংশী।
নারাইনের সঙ্গে ২২ গজে যোগ্য সহ্গত করলেন রঘুবংশী। তরুণ ব্যাটার খেললেন ২৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। ৫টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কাও মারলেন তিনি। নারাইনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তুললেন ১০৪ রান। পন্থের দলের কোনও বোলারকেই সমীহ করেননি। সবাইকেই আক্রমণ করেছেন। দলের ইনিংসকে ভরসা দিয়েছেন। তাই তিনিও কেকেআরের জয়ের অন্যতম নায়ক। এরপরে যার নাম নিতে হয় তিনি এই আইপিএলে ক্রমাগত সাফল্য পেয়ে আসছেন তিনি হলেন আন্দ্রে রাসেল। বুধবারের ম্যাচের অন্যতম নায়ক রাসেলও। শেষ দিকে নেমেও ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন। ১৯ বলে ৪১ রানের ইনিংসটি তিনি সাজালেন ৪টি চার এবং ৩টি ছয় দিয়ে। বল হাতে তেমন সাফল্য না পেলেও তাঁর ইনিংস এ দিন কেকেআরকে ২৫০ রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করে। প্রথম ম্যাচ থেকেই ফর্মে থাকা রাসেল বুধবারও কেকেআরের জয়ের অন্যতম নায়ক।
Discussion about this post