দলের রোষের মুখে কুণাল ঘোষ। মুখ খুললেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক উপায়ে সরলেন কুণাল। দাবি অভিজিতের। বিচারপতির আসনে থাকাকালীন অসহায় চাকরিপ্রার্থীদের মসিহা হয়ে উঠে ছিলেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি। একের পর এক রায়ে বাহবা কুড়িয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থী সহ আপামর রাজ্যবাসীর। উল্টো দিকে তাঁর পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলের নানা প্রতিনিধি। তাঁদের মধ্যে যাদের নাম সবথেকে বেশি উচ্চারিত হবে তিনি আর কেউ নন, তিনি কুণাল ঘোষ। প্রতিদিনই নিজের দলের হয়ে প্রাক্তন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ও রায় নিয়ে চাঁচাছোলাভাবে আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছে কুণাল ঘোষকে।
কখনও সেই আক্রমণ তীব্র হয়েছে কখনও বা অতিতীব্র। একবার শুনে নেব ঠিক ঠিক কী কী বলতেন কুণাল বিচারপতির আসন ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি। তিনি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী। শুরু থেকেই তৃণমূলের দাবি ছিল অভিজিৎ গাঙ্গুলির রায়গুলি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ঠ। বিচারপতির আসন ছেড়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিতেই ধেয়ে আসে রাজ্যের শাসকদলের চোখা চোখা মন্তব্য। তিনি যে রাজনৈতিক স্বচ্ছতার দাবি তুলে পদ্মে যোগদান করেন সেই দলেরই বিরোধী দলনেতার নাম তুলে প্রশ্ন ধেয়ে আসে তাঁর উদ্দেশে।
সেই অভিজিৎ গাঙ্গুলিকেই এবার দেখা গেল পদ হারানো কুণালের পাশে দাঁড়াতে। বন্ধু বলেও সম্বোধন করলেন কুণালকে। তৃণমূলে কোন গণতন্ত্র ও সৌজন্য বলে কিছু নেই। বুধবার কুণাল ঘোষ পদ খোয়ানোর পর মন্তব্য করেছিলেন তাপস রায়। এদিন অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে দেখা গেল একইভাবে মা-মাটি-মানুষের দলের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে। তবে শাস্তির খাঁড়া এখনও অব্যাহত কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে। পদ কেড়ে নেওয়ার পর তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও তাঁর নাম বাদ দিল তৃণমূল। এরপরই সকলের সামনে কেঁদে ফেললেন কুণাল। সারদা মামলায় গ্রেফতারির আগে সেদিনও কুণালকে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল। জেলেও গিয়েছিলেন। পরে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে দলের হয়েই ব্যাটিং ধরতে দেখা যায় তাঁকে। এবারও কি তাই হবে নাকি অপমানের জবাব দিতে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যাবে তাঁকে।
Discussion about this post