সন্দেশখালিতে শ্মশানও জবরদখল। জমি-ভেরি-মাঠের পর এবার শ্মশান। সন্দেশখালির শ্মশান ও খালের জায়গা দখল করে পাঁচিল দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই হচ্ছে শেখ শাহজাহানের। আদালতের নির্দেশ ছিল সিবিআই নিজস্ব পোর্টাল তৈরি করবে যেখানে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে সাধারণ মানুষ তা জানাতে পারবে। তাদের নাম পরিচয় গোপন থাকবে।
সেই পোর্টালে ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা দিয়েছেন সন্দেশখালির গ্রামবাসীরা। সেখানেই এবার শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি আগারহাটি শ্মশানের জমি ও খালের একাংশ বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগ উঠেছে। বসিরহাটের সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্মশানের পাশে রয়েছে আগারহাটি খাল। দীর্ঘদিন ধরে ওই খালের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন গ্রামবাসীরা। আর মাছ কেনাবেচার অর্থ বাঁচিয়ে শ্মশানের উন্নয়নের কাজ হত দীর্ঘদিন। কিন্তু ২০২২ সালে শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীরা ওই খাল ও শ্মশানের একাংশ দখল নেয়। মাটি ভরাট করে পাঁচিল তুলে দেয় বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীরা সিবিআইয়ের ওয়েবসাইটে এই অভিযোগ জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। গত শনিবার ঘটনাস্থলে সিবিআই কর্তারা খাল ও শ্মশান দেখতে যান। গ্রামবাসীরা দূরের একটি কারখানা দেখিয়ে বলেন, “ওটাই আগে শ্মশান ছিল। আর আপনারা যে এলাকায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন, এখানেই ছিল খাল!” ইতিমধ্যে এই বিষয়ে গ্রামবাসীদের বয়ান রেকর্ড করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। আবার সম্প্রতি আদালতে ইডির দাবি ছিল, সন্দেশখালির জমি দখলের টাকা গেছে একাধিক মন্ত্রীর কাছেও।
Discussion about this post