জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আজ শেখ শাহজাহান সহ তার ভাই শেখ আলমগির, শাহজাহান ঘনিষ্ঠ দিদার বক্স মোল্লা এবং শিবু হাজরাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। দুপুর ১ টা বেজে ১০ মিনিটে শুরু হয় বিচারভবনে শুনানি। আজ শুনানি শুরুর প্রথমে শাহজাহানের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে আবেদন করেছিল ED-র আইনজীবী। এই মামলায় রাজ্যের ২-৩জন মন্ত্রী যুক্ত, শাহজাহান জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারে বলে আবেদন জানানো হয়। সন্দেশখালির মানুষের জমি জবর দখল থেকে শুরু করে ইডির এই আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় শেখ শাহজাহান সহ ৪ জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী আরও জানান, নতুন করে জেল হেফাজতের আবেদন করা হল কারণ,
১. নতুন তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত ৪ জনের সঙ্গে ২-৩ জন মন্ত্রী জড়িত, মন্ত্রীদের কাছে জমি দখলের বেআইনি টাকা গিয়েছে। এরা যদি জামিন পায় তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
২. রাজ্য সরকার বিভিন্ন টেন্ডার দিয়েছিল। সেই টেন্ডার ঘুরপথে শাহজাহানের ও তাঁর সঙ্গীদের কাছে গেছে। এইভাবেই লাভবান হয়েছে শেখ শাহজাহান এবং তাঁর সঙ্গীরা।
৩. পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ফেরি পারাবার সহ একাধিক টেন্ডার/সরকারি বরাত গেছে শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের কাছে। মূলত, ২০১৬ এবং ২০২৩ সাল উল্লেখ করে বলা হয়েছে এই সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই টেন্ডার গুলো ঘুরপথে পাইয়ে দেওয়ার হয়েছিল। ইডির আইনজীবীর দাবি শেখ শাহজাহানের স্ত্রী সহ তাঁর নিকটতম সমস্ত আত্মীয় একথা স্বীকার করেছেন ইডি আধিকারিকদের জেরায়।
৪. আদালতে ইডির আইনজীবীর আরও দাবি, যে অস্ত্র গুলো গত শুক্রবার সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার করেছে সিবিআই, সেই সমস্ত অস্ত্রগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলো অস্ত্রই জমি দখলের বেআইনি টাকায় কেনা হয়েছে। এই ঘটনার কথাও ইডির জেরায় স্বীকার করেছে শেখ শাহজাহানের স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠরা।
৫. শেখ শাহজাহানের আর এক ভাই শেখ সিরাজউদ্দিন। তাঁকে এই মুহূর্তে খুঁজে পাচ্ছে না ইডি। এই সিরাজউদ্দিনই নিজেকে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। ইডির আইনজীবীর দাবি, তিনি এখন অন্য একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের আস্তানায় আত্মগোপন করে রয়েছেন।
দু-পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ইডির বিশেষ আদালতের বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় শেখ শাহজাহান সহ ৪ জনের ১৩-ই মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
Discussion about this post