অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পত পত করে উড়ছে জয় শ্রীরাম লেখা পতাকা। শুক্রবার আচমকা এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান বোলুপরের নীচুপট্টির মানুষজন। বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি এখন কার্যত ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কারণ তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও তিহার জেলে বন্দি বাবার সঙ্গে। ফলে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির ছাদে জয় শ্রীরাম লেখা গেরুয়া পতাকা কে বা কারা লাগিয়ে গেল তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
গরু পাচার মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর মেয়ে সুকন্যাও সেখানে বন্দি। বীরভূমের রাজনীতিতে একসময় শেষ কথা ছিলেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। ভোট এলেই তাঁর দাওয়াই নিয়ে চলে আলোচনা। তবে তিহাড় জেলে থাকলেও ২০২৪ লোকসভা ভোটে অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন প্রচারের আলোয়। সদ্য সেখানে প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতর নামে প্রসংশা করে এসেছেন। তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছেন, নির্বাচন শেষ হলেই অনুব্রত মণ্ডল ছাড়া পেয়ে যাবে। এহেন তৃণমূল নেতার ফাঁকা বাড়ির ছাদে আচমকা উড়তে গেল হনুমানের ছবি দেওয়া জয় শ্রীরাম লেখা গেরুয়া পতাকা।
প্রশ্ন উঠছে কে বা কারা এই পতাকা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির ছাদে টাঙিয়ে দিলেন। বর্তমানে অনুব্রতর ফাঁকা বাড়িতে পাহারা দেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। কয়েকজন পরিচারক ছাড়া কারও সেই বাড়িতে ঢোকার অনুমতি নেই। যদিও এই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা। ফলে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ এই বিষয়ে বলেছেন, আগে থেকেই সবাই বুঝতে পারছেন যে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেই ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছে। ফলে অনুব্রত মণ্ডল যদি বিজেপির সাথে যোগাযোগ রেখে বেরিয়ে আসেন তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
কয়েকদিন আগেই অধীর চৌধুরী বীরভূমে এসে বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল কে বের হতে হলে হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে বেরোতে হবে।। ফলে সেরকম কোনো ঘটনা ঘটলে অবাক হবার কিছু নেই।। তবে তৃণমূলের মুখপাত্র জামশেদ আলি খান দাবি করেছেন, বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ ফলে তার বাড়িতে যদি জয় শ্রীরামের পতাকা জ্বলে সেটা অবাক হবার কিছু নেই।। আর রাম তো কারোর একার নয় ফলে সে জায়গায় দাঁড়িয়ে রামের পতাকা ঝুলবে এটা অবাক হওয়ার কি আছে।
Discussion about this post