আগামী ১০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তিনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামেরা। সোমবার বিজেপিও তাদের তালিকা প্রকাশ করল। রাজ্যের চার বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি।
গতবারের মতো এবার কলকাতার মানিকতলায় লড়বেন প্রাক্তন ফুটবলার তথা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে।। মতুয়াগড় হিসাবে পরিচিত বাগদায় প্রার্থী করা হয়েছে বিনয়কুমার বিশ্বাসকে। মতুয়াদের আধিক্য থাকা নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ আসনে পদ্মশিবির প্রার্থী করেছে মনোজকুমার বিশ্বাসকে। মানসকুমার ঘোষকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের জন্য টিকিট দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। ১২টি আসন নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে গেরুয়া শিবির। এমনকি ১৯ এর লোকসভার অনেক জেতা আসনও খোয়াতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। উপনির্বাচনে আর লোকসভা নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি চায় না পদ্ম শিবির। সে কারণে অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছিলেন বলেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু লোকসভার মত ভুল না করে অনেক বিবেচনা করে তবেই টিকিট দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন মুখ না এনে পুরনো নেতৃত্বের ওপরেই আস্থা রাখল বিজেপি।
বাগদা কেন্দ্রের ক্ষেত্রে শান্তনু ঠাকুরের স্ত্রী সোমার নাম শোনা গেলেও, তা নিয়ে দলের অন্দরে প্রবল অসন্তোষ ছিল। উঠে আসছিল বিনয়কুমার বিশ্বাসের নামও। রায়গঞ্জের প্রার্থী হিসাবে মানসকুমার ঘোষ এবং রানাঘাট দক্ষিণের ক্ষেত্রে মনোজকুমার বিশ্বাসের নাম নিয়ে জল্পনা চলছিল। আবার মানিকতলার ক্ষেত্রে কল্যাণ চৌবের নামও ঘুরপাক খাচ্ছিলই। বিজেপির প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর সেই জল্পনাতেই যেন সিলমোহর পড়ল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে আদি বিজেপি নেতৃত্বের উপরই আস্থা রাখল দল।
উল্লেখ্য আগেই বামেরা প্রার্থী দিয়েছে। রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। মানিকতলা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক সাধন পান্ডের স্ত্রী সুপ্তি পান্ডেকে। সাধনবাবুর মৃত্যুর কারণেই ওই কেন্দ্রে ফের উপনির্বাচন হচ্ছে।
অপরদিকে, বাগদা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুর। রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। লোকসভা ভোটেও রায়গঞ্জ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু ওই কেন্দ্রে জয়লাভ করে বিজেপি। এবার বিধানসভা উপনির্বাচনেও তাঁকেই প্রার্থী করেছে ঘাসফুল শিবির। আর রাণাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে মুকুটমণি অধিকারীকে। লোকসভা ভোটে রানাঘাট কেন্দ্র থেকে এই মুকুটমণিকেই প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। তিনিও বিজেপির জগন্নাথ সরকারের কাছে হেরে যান। বিধানসভা উপনির্বাচনে সেই তাঁর উপরই ভরসা রাখল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, কৃষ্ণ কল্যাণী ও মুকুটমণি দুজনেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
Discussion about this post