নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে। ভূপতিনগরে তদন্তে যাওয়ার আগে গত ২৬ মার্চ বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির এনআইএ-র এসপি ধনরাম সিং এর বাসভবনে গিয়ে ‘বৈঠক’ করেছেন বলে দাবি করেছে রাজ্যের শাসকদল। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতির আঙিনায় এই বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে জোড়াফুল শিবির। তৃণমূলের অভিযোগ, ধনরাম এবং বিজেপির ‘যোগসূত্র’ রয়েছে।
জোড়াফুল শিবিরের অভিযোগের পালে হাওয়া দিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের একটি মন্তব্য। সম্প্রতি বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদ মন্তব্য করেছিলেন, ‘জিতেন্দ্র তিওয়ারিই নন, যে কেউ এনআইএর যে কোনও এসপির সঙ্গে দেখা করতে পারেন। আমি দেখা করতে পারি। কুণাল ঘোষও দেখা করতে পারেন এনআইএ এসপির সঙ্গে।’ এনআইএ দ্বারা তৃণমূল নেতাদেরকে ধরপাকড় এবং তলবের আবহে বিজেপি নেতার এমন মন্তব্যের পর আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরব হয়েছেন। বিজেপির সঙ্গে এনআইএ যোগসাজশ করে দলের নেতাদের গ্রেফতার করছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে জোড়াফুল শিবির। শুধু তাই নয়, জিতেন্দ্র তিওয়ারি ওই গোয়েন্দা কর্তাকে টাকা দিয়ে এসেছেন বলেও দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্যের ফলে গেরুয়া শিবির বিড়ম্বনায় পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সুকান্তের মন্তব্য দলকে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করছে, কেন্দ্র সরকার নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এজেন্সিগুলিকে অপব্যবহার করছে। লোকসভা ভোটের আগে এনআইএ-র এসপি ধনরাম সিং এর বাসভবনে জিতেন্দ্র তিওয়ারির হাজিরা এবং তা সুকান্ত মজুমদার সমর্থন করায়, বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপিকে বিড়ম্বনায় ফেলতে সুকান্ত মজুমদারের ওই মন্তব্য যথেষ্ট। কারণ জিতেন্দ্রর কর্মকান্ডকে যেভাবে তিনি নির্দ্বিধায় সমর্থন করেছেন, তার ফলে জনমানসে তৃণমূলের অভিযোগ মান্যতা পেয়েছে। এর ফলে আসন্ন লোকসভা ভোটে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থীর ভোট ব্যাঙ্ক অনেকটা ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Discussion about this post