সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি ওরফে পিয়ালি দাস জামিন পেলেন কলকাতা হাইকোর্টে। সূত্রের খবর, রিট কোর্ট বা হাইকোর্টের একছত্র ক্ষমতা প্রয়োগ করেই মাম্পি দাসকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, বসিরহাট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, জামিনযোগ্য ধারায় মামলা থাকা সত্বেও নিম্ন আদালত কেস ডায়রি না দেখেই মাম্পিকে ১২ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই মামলায় রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। শেষ পর্যন্ত মাম্পির জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি।
গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি ওরফে পিয়ালি দাস। তাঁর দাবি ছিল, এই গ্রেফতারি বেআইনি। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে শুরু হয় শুনানি। মাম্পির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতে প্রশ্ন তোলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল গত ৭ মে। সেই মতো তাঁকে ৪১এ ধারায় নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু গত ১৪ মে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আদালত তাঁকে ১২ দিনের হেফাজতে পাঠায়। এরপরই বিচারপতি সেনগুপ্ত রাজ্যের আইনজীবীদের কাছে একাধিক প্রশ্ন তোলেন।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এভাবে কাউকে গ্রেফতার করাই যায় না। আপনারা হয়তো এই কোর্টকে (কলকাতা হাইকোর্ট) গুরুত্বই দেন না, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশগুলি অন্তত মেনে চলুন। এরপরই বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ম্যাজিস্ট্রেট কী করেছেন? ১৯৫ও ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ আছে। তার পরেও কী ভাবে এই নির্দেশ দিলেন তিনি? রাজ্যের উদ্দেশ্যে বিচারপতির প্রশ্ন, এমন গ্রেফতারির মাস্টারমাইন্ড কে? এই মামলাটি কোন অফিসার দেখছেন? মাম্পিকে জামিন দেওয়া উচিৎ মন্তব্য করেও বিচারপতি রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলকে ডেকে পাঠান। তারপরই রায় ঘোষণা করেন তিনি। উল্লেখ্য, নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করার বিশেষ ক্ষমতা থাকে হাইকোর্টের। সেটি প্রয়োগ করেই এদিন জামিন দেওয়া হল মাম্পি দাসকে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে যে ১৯৫এ ধারায় যে মামলা দায়ের হয়েছে, সেটিতেও স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ জুন।
শিলিগুড়ি করিডোরের কাছে বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ ক্যাম্পে হামলার ঘটনা। গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গেল এক অনুপ্রবেশকারীর। এই ঘটনা নিয়ে ভারতের সীমান্ত...
Read more
Discussion about this post