তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বঙ্গ রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ক্ষমতার নিরীখে তিনিই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নম্বর টু বলা চলে। তাঁর বিরুদ্ধে কয়লা পাচার, গরু পাচার ছাড়াও কয়েকটি মামলার তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমান নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল থাকবে এ কথা বলাই বাহুল্য। শুক্রবারই তিনি তৃতীয়বারের জন্য ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা করেছেন। সেই সঙ্গে দিয়েছেন নির্বাচনী হলফনামা। সেখানেই অভিষেক জানিয়েছেন তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তির হিসেব-নিকেষ। ওই হলফনামায় দেখা যাচ্ছে কয়েকটি অবাক করা তথ্য।
নির্বাচনী হলফনামায় সকলকে অবাক করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তাঁর নামে কোনও বাড়ি ও গাড়ি নেই। এমনকি নেই কোনও স্থাবর সম্পত্তিও। তবে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমান ১ কোটি ২৬ লক্ষ ২০ হাজার ২০৪ টাকা। আর হাতে নগদ রয়েছে ৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩৩৫ টাকা। হলফনামা অনুযায়ী অভিষেকের পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেগুলিতে সবমিলিয়ে রয়েছে ৮৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯০৮ টাকা। এছাড়া ৩১ লক্ষ টাকা মূল্যের তিনটি জীবন বিমা রয়েছে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থীর। পাশাপাশি তাঁর নামে ৩৬ লক্ষ টাকার ঋণ রয়েছে বলেও হলফনামায় জানিয়েছেন অভিষেক।
নির্বাচনী হলফনামায় অভিষেক তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পত্তির হিসেবও দিয়েছেন। স্ত্রী রুজিরা নারুলার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমান ৭৮ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৮২ টাকা। পাশাপাশি রুজিরার সোনাদানার পরিমানও জানিয়েছেন অভিষেক। রুজিরার কাছে ৬৮৫ গ্রাম সোনা রয়েছে। যার বাজারমূল্য ৪০ লক্ষের ওপরে। এছাড়া অভিষেকের স্ত্রীর কাছে ৩টি ছবি রয়েছে যার বাজার মূল্য ৩ লক্ষ টাকা। হলফনামায় অভিষেক জানিয়েছেন, তাঁর দুই সন্তানের নামেও রয়েছে অস্থাবর সম্পত্তি। সবমিলিয়ে তার অঙ্ক ২২ লক্ষ ২ হাজার ৪৩৩ টাকা। রুজিরার হাতে নগদ টাকা না থাকলেও দুই সন্তানের হাতে নগদ রয়েছে ১ লক্ষ ২১ হাজার ৯৪৪ টাকা। অভিষেকের কন্যার নামে রয়েছে ৪ লক্ষ ৪৯ হাডার ৬০০ টাকার সোনা-রুপো।
দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট থএকে ২০০৯ সালে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁর নামে কোনও ফৌজদারি মামলা না থাকলেও এবার অভিষেকের নামে ২টি মামলা চলছে বলে হলফনামায় জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি গত লোকসভা ভোটে দেওয়া সম্পত্তির হিসেব থেকে ২০২৪ সালে অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমান বেড়েছে অনেকটাই। তবে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে অভিষেক জানিয়েছেন তাঁর নামেন কোনও স্থাবর সম্পত্তি, বাড়ি ও গাড়ি নেই।
Discussion about this post