ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল। অনিশ্চিত হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার ভবিষ্যৎ। যোগ্য হয়েও কেন চাকরি খোয়াতে হবে, সেই প্রশ্ন তুলে শুক্রবার করুণাময়ীতে পথে বসলেন চাকরিহারারা। এদিন হাজার হাজার চাকরিহারা এসএসসি ভবন অভিযান করে করুণাময়ীতে। পুলিশের কাছে বাধা খেয়ে আচার্য ভবনের সামনেই বসে পড়েন চাকরিহারারা। বক্তব্য একটাই, কেন অযোগ্যদের সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে দেওয়া হল তাঁদের। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম করে দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি, রাজ্য সরকার। পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। তার আগে আজ চাকরি হারাদের আন্দোলন গোটা করুণাময়ী জুড়ে। তাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের আলাদা নামের তালিকা দিয়ে মামলা করতে হবে। চাকরিহারারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টে কমিশন বলেছে, যোগ্য-অযোগ্যদের তারা আলাদা করে দিতে পারবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটা করে দেওয়া হোক বলে তারা দাবি তোলেন।
এদিন গলায় ওএমআর শিটের কপি ঝুলিয়ে নিয়ে হাজির হন তাঁরা। এরপরই চাকরিহারাদের ২০ জনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। যোগ্যদের একটি পরিসংখ্যান সুপ্রিম কোর্টের কাছে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, “আমি তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি যে যোগ্য প্রার্থী যারা, তাদের পাশে অবশ্যই কমিশন থাকবে। আমরা চেষ্টা করব মহামান্য সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করতে, এই তালিকা থেকে যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করা সম্ভব। আমরা যেমন অযোগ্যদের একটা তালিকা স্পেশাল বেঞ্চে দিয়েছিলাম। তেমনই বিতর্কিতদের তালিকা সুপ্রিম কোর্টেও তুলে ধরব। ফলে বাকি যারা থেকে গেল তাদের ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ নেই সে ব্যাপারেও একটা পরিসংখ্যান অবশ্যই দেব। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মতো যা নির্দেশ থাকবে তা করার চেষ্টা করব।” উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পর্যন্ত এসএসসির দাবি ছিল যোগ্য অযোগ্যদের বিভাজন করা অসম্ভব। তবে আজ তবে আজ কমিশনের সেই বিবৃতির একেবারে পাল্টে গেল।
Discussion about this post