বাংলাদেশ কি এবার জমি হারাতে চলেছে মায়ানমারের কাছে? সে প্রশ্নটা কিন্তু ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। নেপথ্যে মায়ানমারের বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। মঙ্গলবার মায়ানমারের শেষ সেনাঘাঁটি মংডো বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সদস্যরা দখল করে নেয়। এরফলে একদিকে যেমন বড় সঙ্কটের মুখোমুখি মায়ানমারের জুন্টা সরকার তেমনি বিপদ ঘণীয়েছে বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশেও। কারণ কৌশলগত ভাবে মায়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর মংডোর পতনের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে দুশ একাত্তর কিলোমিটার সীমান্তে এখন বিডিআরের মুখোমুখি বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। আর ক্ষমতা দখল করেই আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুপা জানিয়ে দিয়েছেন নাফ নদীর উপর যে কোনও ধরণের পরিষেবা আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। বিদ্রোহীদের দাবি মায়ানমার সেনা জওয়ান, পুলিশ এবং স্থানীয বাসিন্দাদের নৌকায় করে বাংলাদেশ পালানো রুখতেই এই সিদ্ধান্ত। শুধু তাই নয় নাফ নদীতে বাংলাদেশী কোনও নৌকাকেও ঢুকতে দিচ্ছে না বিদ্রোহীরা।বন্দি করা হয়েছে জুন্টা সরকারের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনকে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি বাংলাদেশে পালানোর ছক করছিলেন বলে জানিয়েছেন আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুপা। অন্যদিকে, ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আশঙ্কায় বাংলাদেশ সেনা ও সেদেশের সরকার। আর এবার আকাশ আতঙ্কে থরহরিকম্প পড়শি দেশের সেনার। ইতিমধ্যেই যশোরের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে একাধিক যুদ্ধবিমান সেদেশের আকাশে পেট্রোলিং শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, রাফায়েল ও সুখোইয়ের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানও ভারতের আকাশে পেট্রোলিং করছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, একাধিক হেলিকপ্টারও ভারতের আকাশসীমায় পেট্রোলিং করছে বলে সূত্রের খবর। যার জেরে ‘সোনিক বুম’-এর আতঙ্কে ভুগছে বাংলাদেশের সেনা। জানা গিয়েছে, ভারতের হাতে থাকা রাফায়েল যুদ্ধবিমান অন্তত চার ধরনের মিসাইল ব্যবহারে সক্ষম। অন্যদিকে, অত্যাধুনিক সুখোই যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত রযেছে ৯টি মিসাইল।ভারতের এই প্রস্তুতি নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছে বাংলাদেশ সেনা। এই পরিস্থিতিতে যশোর ও চট্টগ্রাম বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ইতিমধ্যেই হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সামরিক শক্তির নিরিখে ভারত যে বাংলাদেশের থেকে বহু এগিয়ে রয়েছে সেকথা অজানা নয় পড়শি দেশের সরকারের। তারপরেও বাংলাদেশ যেভাবে ভারতের বিরুদ্ধে আস্ফালন শুরু করেছে, তা নিয়ে এদেশের জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মতো ভারতের আরেক প্রতিবেশি মায়ানমারও সরকার পতনের মুখে দাঁড়িয়ে। গত এক বছরে রাখাইন প্রদেশের সতেরোটি শহরের মধ্যে এগারটিই বিদ্রোহীদের দখলে। মায়ানমারে জুন্টা প্রশাসনের পতন হলে ভারতের কালাদান মাল্টিমোডাল উন্নয়ণ প্রকল্পেও ধাক্কা আসতে পারে বলে আশঙ্কিত কুটনৈতিক মহলের একাংশ। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সড়ক এবং সামুদ্রিক সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত এই প্রকল্পের সূচনা করেছিল। যদিও বিদ্রোহী আরাকান আর্মি জানিয়েছে ভারতীয় প্রকল্প বন্ধ করে দেবার কোনও ইচ্ছা তাদের নেই। ফলে শঙ্কার মধ্যেও কিছুটা আশ্বাস রয়েছে দিল্লির জন্য। কিন্তু ঢাকার ক্ষেত্রে আপাতত সেই স্বস্তিও নেই।
পৌষেও বৃষ্টির ভ্রুকুটি! সপ্তাহান্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাংলায়। পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনাও জারি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার পরোক্ষ প্রভাবে এই বৃষ্টি ও তুষারপাত।...
Read more
Discussion about this post