শাহাজাহান ও তার বাহিনীর কর্মকাণ্ডে আগেই মুখ পুড়েছিল তৃণমূলের। এবার সন্দেশখালি নিয়ে কোনঠাসা বিজেপি। দুই পরিস্থিতির মাঝে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের রাজনীতির মাঝে বামেদের জয় সহজ।
একটা ভাইরাল ভিডিও। তারপরই তোলপাড় গোটা রাজ্য রাজনীতি। ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির দাবি সন্দেশখালিতে ধর্ষণের ঘটনা পুরোটাই সাজানো। সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিজেপির পসার জমাতে টাকার বিনিময়ে মহিলাদের দিয়ে অভিযোগ করানো হয়েছিল। আর এসবের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী। যিনি বলছেন তিনি বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল। এরপর পেড়িয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। একের পর এক ভিডিও এসেছে সামনে। সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ ভিডিওর দাবির সত্যতাও স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে কিছুটা অন্যরকমভাবে। তাঁরা জানিয়েছেন অভিযোগ ছিল বটেই। তবে ধর্ষণের নয়। সাদা কাগজে সই করিয়ে বিজেপি সমর্থক মাম্পি দাস সহ আরও অনেকে এমন কাজ করিয়েছেন।
সন্দেশখালির এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মাম্পি ওরফে পিয়ালি দাসকে থানায় তলব করা হয়। রক্ষাকবচ চেয়ে কোর্টে যেতেই মাম্পিকে জেলে পাঠায় আদালত। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মাম্পি। বসিরহাটের প্রার্থী রেখা পাত্রও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কোন কোন মামলা করেছে ও রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে গেছেন রেখা। বিগত কয়েকদিনে সন্দেশখালি নিয়ে ঘটনার যে পরম্পরা তাতে বেশ কোনঠাসা বিজেপি। গেরুয়াশিবিরের দাবি মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভোটে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কারণ শাহজাহান ও তার শাগরেদদের ঘটনায় শাসকদলের মুখোশ খসে পড়েছে।
সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল কাদা ছোড়াছুড়িতে যখন ব্যস্ত তখন বামেদের দাবি পুরোটাই পলিটিক্স। অনেক আগেই সন্দেশখালিতে তৃণমূলের অত্যাচারের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করে ছিলেন তৎকালীন সিপিআইএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে।শাহজাহান ও তার বাহিনীর দাপটে সন্দেশখালির বহু এলাকা বামেদের জন্য অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়েছে। তবে এবার বসিরহাটের বুকে জয়ের আশা দেখছে বামেরা। কারণটা অবশ্যই নিরাপদ সর্দার। সন্দেশখালি আন্দোলন চলাকালীন এই নিরাপদ সর্দারকে দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের পাশে। জেলও খেটেছেন। রাজনীতির আঁচ বুঝে আসন্ন বসিরহাট লোকসভা নির্বাচনে নিরাপদকেই প্রার্থী করেছে বামেরা। বস্তুত ২০১১ সালে রাজ্যে যখন বাম দুর্গের পতন হয় সেবারও বসিরহাট কেন্দ্রে জয়ী হয়ে ছিলেন সিপিআইএম প্রার্থী নিরাপদ। সবুজ ঝড়ের মাঝে বামেদের লাল পতাকা অটুট রেখে ছিলেন নিজের কেন্দ্রে। আসন্ন নির্বাচনে যখন বসিরহাট কেন্দ্রে বিজেপি ও তৃণমূলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সেখানে বামেদের ইমেজ অনেকাংশে ক্লিন। শুরু থেকে শেষ তারা সন্দেশখালির মানুষের লড়াইয়ে সামিল। লাল ঝাণ্ডা উঁচিয়ে একটাই বার্তা তাঁরা ছিলেন তাঁরা আছেন ও তাঁরা ভবিষ্যতেও মানুষের পাশে থাকবে। তাই অনেকেই মনে করছেন বিজেপি-তৃণমূলের রাজনীতি পাল্টা রাজনীতির মাঝে আখেরে লাভের গুড় খাবে বামেরাই
কি আশ্চর্য সমাপতন! সেই ২০০০ সালে রাজ্যে তখন ভরা বাম শাসন। রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেত্রী তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়...
Read more
Discussion about this post