কলকাতার মেট্রো, ইতিহাসে এক অনন্য নজির। বেশ কয়েকদিন আগেই গঙ্গার নিচ দিয়ে চালু হয়েছে মেট্রো। যা অনেকের কাছেই অনন্য চমক। এবার কলকাতা মেট্রো আরও এক চমক আনল যাত্রীদের কাছে। চালক ছাড়াই চলবে কলকাতায় মেট্রো। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। অর্থাৎ অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন বা চালকবিহীন মেট্রো কলকাতার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাত্রীদের নিয়ে যাবে। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার থেকেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদাহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা রয়েছে। যার মাধ্যমে কন্ট্রোল রুম থেকেই মেট্রোর যাবতীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আর এর কারণেই কোনও চালক ছাড়াই যাত্রী বোঝাই মেট্রো যাতায়াত করতে পারবে।
শুধুমাত্র তাই নয়। অটোমেটিক ট্রেন অপারেশনে নাকি অনেক কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছবে। বর্তমানে যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো শিয়ালদাহ থেকে সেক্টর ফাইফ রুটে ২০ মিনিটের ব্যবধানে পরিষেবা পাওয়া যায়। সেখানে নতুন প্রযুক্তি অটোমেটিক ট্রেন অপারেশনে সময়ের ব্যবধান দুই থেকে তিন মিনিটের মতো কমবে বলে জানা যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি আগেই জানিয়েছিলেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেট্রো রেক চালানো গেলেও কেবিনে চালক উপস্থিত থাকবেন। তাঁর মতে, কলকাতায় যাত্রীদের কাছে এই বিষয়টি একেবারেই নতুন। তাই বিনা চালকের মেট্রো রেক নিয়ে যাত্রীদের মনে খানিকটা উদ্বেগ বা উৎকন্ঠা তৈরি হতে পারে। তাই শুরুর দিকে অটোমেটিক ট্রেন অপারেশনে চালকরা উপস্থিত থাকবেন। তবে বাস্তবে সেখানে তাদের কোনওরকম ভূমিকা থাকবে না।
মেট্রোয় নতুন প্রযুক্তি আসায় বেশ সুবিধা হতে চলেছে যাত্রীদের। শিয়ালদা-সেক্টর ফাইভের মধ্য মেট্রো পরিষেবার ব্যবধান ২০ মিনিটের বদলে হতে চলেছে ১৭ মিনিট। অন্যদিকে সেক্টর ফাইভ- থেকে শিয়ালদার মধ্যে মেট্রোর পরিষেবার ব্যবধান ২০ মিনিটের বদলে করা হবে ১৮ মিনিট। তবে এক্ষেত্রে, দিনের প্রথম ও শেষ মেট্রো পরিষেবার সময়সূচি একই থাকবে। দিনের প্রথম মেট্রো শিয়ালদা ও সেক্টর ফাইভ স্টেশন থেকে ছাড়বে সকাল ৬ টা ৫৫ মিনিট এবং সকাল ৭টায়। আবার ওই দুটি স্টেশন থেকে দিনের শেষ মেট্রো ছাড়বে যথাক্রমে রাত ৯টা ৩৫ মিনিট ও ৯টা ৪০ মিনিটে। কলকাতার মেট্রোয় এই নয়া চমক যাত্রীরা অনেকটাই উপকৃত হবেন তা বলাই বাহুল্য।
বাংলায় জনসংখ্যার বিপজ্জনকভাবে রূপান্তর হচ্ছে। দশ বছরে ৪৬টি বিধানসভা এলাকায় ভোটার সংখ্যা ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে ৭টি আসনে...
Read more
Discussion about this post