ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। বেড়েছে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। আলাদা করে টার্গেট হচ্ছেন ইসকনের সদস্যরা। রাজধানী ঢাকা সহ সেদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় লাগাতার বেড়ে চলছে আক্রমণ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে মন্দির ধ্বংস। আর এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে ঢুকতে বাধ্য হচ্ছেন সেদেশের বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু সম্প্রতি তাতেও বাধ সেধেছে ইউনুসের পুলিশ-প্রশাসন। রবিবার ভারতে আসার সময় বেনাপোল সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে ইস্কনের একটি সন্ন্যাসী দলকে। যা নিয়ে ক্ষোভ আরও বাড়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের একাংশ। তাদের অনেকের দাবি, হিন্দুদের রক্ষায় ভূমিকা নিক প্রতিবেশি ভারত। প্রধানমন্ত্রী যেন তাদের রক্ষা করেন। দাবি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। ওপার থেকেও যেমন এদেশে এসেছেন অনেকে। আবার চিকিৎসা করাতে ভারতে এসে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন বহু সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকল্প পথের কথাও ভাবছে ভারত। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম-মনিপুর সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে তাক করা হয়েছে পিনাকা গাইডেড মিসাইল। যার রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমানু অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপনাস্ত্র। ইতিহাসে প্রথমবার বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের এই বিপুল সেনা মোতায়েন নিঃসন্দেহেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনুস সরকারের। তবে মুখে তা না মানলেও কথাবার্তা আচরণে সেই আশঙ্কা স্পষ্ট টের পাচ্ছেন তারা। কারণ বাংলাদেশের আভ্যন্তরে এই ভারতের সেনা মোতায়েন নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে। সেদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও পাকিস্তান ও মায়ানমারে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ টেনে এনে বাংলাদেশের ওপর সেই আশঙ্কার কথাও বলছেন। তবে বাংলাদেশের মতো ছোট্ট-দুর্বল দেশের বিরুদ্ধে আদৌ ভারত সামরিক বল প্রয়োগ করবে কিনা তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। যদিও পরিস্থিতি আরও বেগতিক হলে ভারতের সেনা প্রস্তুত রয়েছে বলেও ইতিমধ্যে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই ‘প্রস্তুত’ বার্তা সামনে আসতেই আরও জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এরই মাঝে সামনে এলো পাক-বাংলাদেশ চুক্তি। তলে তলে গুটি সাজাচ্ছে বাংলাদেশ। বছরের পর বছর চলা শত্রুতা ভুলে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের সাথে নতুন অস্ত্র চুক্তি করছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে উত্তেজনাপূর্ণ হলেও, বর্তমানে সেই শত্রুতা ভুলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তান থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি থেকে বখতার শিকান অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের নির্যাতনের স্মৃতি এখন অনেকটাই অতীত হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের আক্রমণ ক্ষমতা বাড়াতে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে পাকিস্তান থেকে এই বখতার শিকান অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল সংগ্রহ করছে। এই মিসাইলটি মূলত চিনের তৈরি নরিনকো এইচজে-৮ মিসাইলের একটি সংস্করণ, যা পাকিস্তানে লাইসেন্স নিয়ে উৎপাদিত হয়। এটি অপটিক্যাল এবং ইনফ্রারেড ট্র্যাকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। মিসাইলটি ট্যাংকসহ অন্যান্য সাঁজোয়া যান ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য এক নতুন শক্তি যোগাবে।
পৌষেও বৃষ্টির ভ্রুকুটি! সপ্তাহান্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাংলায়। পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনাও জারি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার পরোক্ষ প্রভাবে এই বৃষ্টি ও তুষারপাত।...
Read more
Discussion about this post