আর জি করে ধর্ষণ-খুন কাণ্ডের পর শিয়ালদহ আদালতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া। আর মাত্র কিছুক্ষনের অপেক্ষা নির্ধারিত সময় দুপুর ২ টোর সময় এসে হাজির হয়েছেন সব পক্ষই । উপস্থিত রয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। রুদ্ধদ্বার কক্ষে শুরু হবে মামলার বিচারপর্বের শুনানি।
সূত্রের খবর, শনিবারই সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে মা ও বাবার সঙ্গে কথা বলেন। বিচারকের নির্দেশমতো অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে সরাসরি অথবা ভারচুয়াল পদ্ধতিতে বিচারের সময় উপস্থিত থাকতে হতে পারে। এদিকে, এদিনই নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তথ্য এবং প্রমাণ লোপাট, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ধৃত আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধেও চার্জশিট পেশ করতে পারে সিবিআই। সেই ক্ষেত্রে এই ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এটি দ্বিতীয় তথা অতিরিক্ত চার্জশিট হিসাবেই গণ্য করা হবে।
আদালত সূত্রে খবর, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সপ্তাহে চার থেকে পাঁচদিন করে চলতে পারে শুনানি। ছুটির দিন বাদে মোটামুটি রোজই শুনানি হবে শিয়ালদহ আদালতে। ডিসেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহের মধ্যে এই পর্ব শেষ হতে পারে বলে অনুমান করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে প্রথম থেকেই দাবি করা হচ্ছে, তাঁদের মেয়ের ঘটে যাওয়া খুন ও বীভৎসতার ঘটনার পেছনে একা সঞ্জয় দায়ী নয়, আরও অনেকেই জড়িত এই ঘটনায়।
এরই মাঝে গত সোমবার শিয়ালদহ আদালতে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয়। সেখানেই প্রিজন ভ্য়ান থেকে ডিপার্টমেন্ট ও সরকার তাকে ফাঁসাচ্ছে বলে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিস্ফোরক অভিযোগ।
সিবিআই সূত্রে দাবি, চার্জশিটে দেখানো ১২৮ জন সাক্ষীর হিসেবে মধ্যে ৫৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে প্রথম দিনের বিচার প্রক্রিয়ায়। তার মধ্যে সম্ভবত প্রথম সাক্ষী হিসাবে দেখা যাবে নির্যাতিতার বাবাকে। শিয়ালদা আদালতে নির্যাতিতার পক্ষের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারও উপস্থিত রয়েছেন।
এখন দেখার আদালতে সঞ্জয় রায়ের সামনাসামনি হয়ে নির্যাতিতার বাবা ঠিক কী বলেন, এবং সঞ্জয়ই বা আদালতে দাঁড়িয়ে আবার কোনও বিস্ফোরক দাবি করে কিনা।
Discussion about this post