দীর্ঘ চার বছর বিচার প্রক্রিয়া শেষে পর্নোগ্রাফি কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হলো বাংলার ছয় অভিযুক্ত। মহিলাদের মাদক খাইয়ে পর্নোগ্রাফি কাণ্ডে বাংলার একাধিক জায়গা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল এই অভিযুক্তরা। মূলত অল্পবয়সী মহিলাদের নিশানা করা, তাঁদের মডেলিং করার প্রস্তাব দেওয়া, তারপর মাদকদ্রব্য খাইয়ে বেহুঁশ অবস্থায় তাঁদের অশ্লীল ভিডিও তোলা, এবং সেই ভিডিও দিয়ে তাঁদের ব্ল্যাকমেল করা। আরও ভয়ঙ্কর, সেইসব ভিডিও বিক্রি হয়ে যেত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অ্যাপে আপলোড করার উদ্দেশ্যে। ২০২০ সালে এই মর্মে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। সেই ঘটনা তদন্তে নেমে অভিযোগকারী মহিলার চিহ্নিত করা পাঁচজনকে হাতেনাতে নিউটনের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, নিউটনের এই হোটেলে বসেই তারা ছক কষছিল তাদের পরবর্তী ‘শুটিং’-এর। সেই একই হোটেল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু বৈদ্যুতিক গ্যাজেট, যৌন উদ্দীপনা বাড়ানোর কিছু ডিভাইস, এবং একাধিক ওষুধ। পাশাপাশি আরো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে। এদের সকলেরই প্রধান কার্যালয় ছিল টালিগঞ্জ এলাকার একটি ‘অফিস’। নিজেদের পরিচালক-প্রযোজক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মহিলাদের ফাঁদে ফেলা হত। ২০২০ সালের এই মামলার বিচারপর্ব শেষ হয়েছে সম্প্রতি। বারাসাতের অ্যাডিশনাল জেলা জজের সপ্তম এজলাসে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে শুভাঞ্জন রায় (৩৫), মিল্টন ঘোষ (২৭), উমেশচন্দ্র নাথ (২৬), অভিজিৎ বসাক (৩৩), দেবজ্যোতি সরকার (২৬), এবং প্রকাশ দাস (২৭) নামে এই ছয় অভিযুক্ত। মামলার রায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং আইটি আইনের বিভিন্ন ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত, সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকার আর্থিক জরিমানা, অনাদায়ে আরও কয়েক মাসের কারাদণ্ড নির্দেশ দেন বিচারক।
রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে শুধু ঝড়বৃষ্টিই নয়, আগামী সপ্তাহে ধেয়ে আসতে পারে ঘূ্র্ণিঝড়ও। বিভিন্ন আবহাওয়ার...
Read more
Discussion about this post