আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও মৃত্যুর প্রতিবাদে তোলপাড় রাজ্য। গতকাল রাত দখল কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। আজ ওই মামলা উঠছে সুপ্রিম কোর্টে। স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলার প্রতিবাদী মানুষজন। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। তবে তা কোনও চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়। এখনও পর্যন্ত তদন্তের যা অগ্রগতি হয়েছে তা নিয়েই রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। এদিন মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা সিবিআইয়ের রিপোর্ট খুঁটিয়ে পড়েন।
এদিন বিচারপতির প্রশ্ন, চালান ছাড়া কীভাবে ময়নাতদন্ত হল? এই চালান ছাড়া দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গ্রহণ করা হবে না,’ মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। রাজ্য জানায়, ‘হাইকোর্টে যে কেস ডায়েরি দেওয়া হয়েছিল সেখানে চালান ছিল।’ বিচারপতি জানান, ‘চালান এই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাতে বোঝা যায় যে দেহের সঙ্গে কী কী পাঠানো হয়েছিল’ এই মুহূর্তে আমার কাছে যা তথ্য আছে তাতে ম্যাজিস্ট্রেট লিখিতভাবে যা দিয়েছেন তা ছাড়া কিছু নেই, জানালেন কপিল সিব্বল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ় করল সিবিআই। তারইমধ্যে আইনজীবী দাবি করলেন যে ময়নাতদন্তের সময় যাঁরা হাজির চিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই উত্তরবঙ্গ লবির সদস্য। যে লবির বিরুদ্ধে রাজ্যে স্বাস্থ্য দুর্নীতি চক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছে। আগামী সোমবারের মধ্যে সিবিআইকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ফের সেই মামলার শুনানি হবে।
Discussion about this post