আবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক? না, এমন কথা মোটেই বলেনি ভারত। তবে, ভয় পাচ্ছে বাংলাদেশ। কেবল ভয় পাচ্ছে বললে বোধ হয় সঠিকভাবে বর্ণনা করা হয় না। তারা আসলে ভয়ে কাঁটা। কৃত কর্মের ফল ভাল নাও হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই কি এবার ছদ্ম সাহস দেখাতে গিয়ে হুমকির পথে হাঁটছে ভারতের পূর্বের প্রতিবেশি, উঠছে প্রশ্ন। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হলে পরিণতি ভাল হবে না, এমন আশঙ্কা থেকে এবার ভারতকে হুমকি দিচ্ছে বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চ। বর্তমানে বাংলাদেশের দিকে দিকে আক্রান্ত হচ্ছে হিন্দুরা। অভিযোগ, নৈরাজ্যের প্রতিবেশী দেশে বেছে বেছে হিন্দুদের লক্ষ্য করে জোরতর আক্রমণ চলছে। এমনকি হিন্দুদের দোকান, বাড়িঘরে চলছে ভাঙচুর-লুঠপাট। সেই সঙ্গে মন্দিরেও ভাঙচুর চালাচ্ছে কট্টরবাদীরা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ‘শান্তি বাহিনী’ পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা কখনও বলা হয়নি ভারতের পক্ষ থেকে। তবুও বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের মতো মহলগুলি থেকে বারংবার উঠে আসছে পাকিস্তানের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ। তবে কি সত্যি ভয় পাচ্ছে বাংলাদেশ?বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। “একজন মুখ্যমন্ত্রীর তো কথার ওজন থাকবে? এখানে যাঁরা পড়তে বা কোনও কাজে এসেছেন সেই ভারতীয়রা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে কোনও খবর আমাদের কাছে নেই।” এমনই জানিয়েছেন মহম্মদ ইউনুস সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা ক্রমশ হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার চালাচ্ছে। শুধুমাত্র ভারত নয়, গোটা বিশ্ব ধিক্কার জানাচ্ছে বাংলাদেশের এই ধরনের আচরণের জন্য। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে একবারের জন্য উল্লেখ করা হয়নি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা। তবুও বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের মতো মহলগুলি থেকে বারংবার উঠে আসছে পাকিস্তানের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ। সম্প্রতি বাংলাদেশে ইস্কন সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারি ও হিন্দু নির্যাতন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেও বিষয়টিকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আর তারপরই রাজনাথের বার্তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিকমহল। এদিকে বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু নিধনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসার সমস্ত রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে ইউনুসের সরকার। এমনটাই জানা গিয়েছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
এবছর উষ্ণতম বড়দিন। বেলা বাড়লে আরও কমবে শীতলতা। বড়দিনে পাহাড়ে হালকা বৃষ্টি, সেই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলাতেও হালকা বৃষ্টি পেতে...
Read more
Discussion about this post