বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে ঢাকা হাই কোর্টে। সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামানও জানিয়েছেন, তারা বর্তানে ইকনকে একটি কট্টরপন্থী ধর্মীয় সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করছে। এই আবহে এবার বাংলাদেশে ইসকনের একটি অফিস জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বাংলাদেশের ঢাকা ডিভিশনের মাদারিহাট জেলার শিবচর উপজেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, শিবচরের টিএনটি মোড় এলাকায় অবস্থিত ইসকন অফিসটিকে বলপূর্বক বন্ধ করে দেওয়া হয়। অফিসের সামনে থেকে ইসকন প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রভুপাদের ছবি সহ বোর্ডটি নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে থাকা ভক্তদের নাকি সেনার গাড়িতে করে সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তাঁর গ্রেপ্তারি, জামিন খারিজ এবং বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ঢাকা বিষয়টি ভালোভাবে না–নেওয়ায় দিল্লির সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোরও। এবং এই আবহেই বুধবার বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে পিটিশন দায়ের হলো ঢাকার হাইকোর্টে। তড়িঘড়ি শুনানিতে রাজি হয়ে গেল কোর্টও। ২৪ ঘণ্টারও কম সময় দিয়ে ঢাকার হাইকোর্ট বলল, আজ, বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেই ইসকনকে নিয়ে সরকারের অবস্থান এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলকে। বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি তুলে নেওয়ার পক্ষে সম্প্রতিই কোর্টে জোর সওয়াল করতে শোনা গিয়েছিল মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের এজি মহম্মদ আসাদুজ্জামানকে। এ দিনও যেন তিনি তৈরি হয়েই এসেছিলেন। হাইকোর্ট ইসকন এর ‘পরিচয়’ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল তাৎক্ষণিক ভাবে বলে দিলেন ‘ইসকন আদতে একটি ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন।’ এদিন রাষ্টপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৩ জনকে। এসময় সরকারের নেয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। এরপরই আদালত বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও দেশের সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে যা কখনো ভাঙবে না। রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, এ বিষয়ে সরকারকে তাদের তৎপরতা জারি রাখতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার এই সংগঠনকে নিয়ে সরকার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তবে যেভাবে দেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে তাতে সরকারের বক্তব্য কিছুটা হলেও স্পষ্ট বলে দাবি সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের। এমনকি আজ থেকেই বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করা হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেই দাবি। তবে ইসকন বন্ধ নিয়ে এদিন কোনও হস্তক্ষেপ সে দেশের হাইকোর্ট করেনি বলে জানা যাচ্ছে। সবটাই সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এই বিষয়ে ভারতের তরফে একাধিকবার বাংলাদেশের ইউনুস সরকারকে বার্তা দেওয়া হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং হামলা -অত্যাচারের ঘটনা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।আর এর বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াইয়ের ডাক দেন ইসকনের সন্ন্যাসী তথা সনাতনী জাগরণী জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার করল বাংলাদেশ সরকার। আর এরপরেই উত্তাল পদ্মাপাড়।
গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন রসায়ন খুবই মধুর হতে শুরু করেছে। প্রায় ৫০...
Read more
Discussion about this post