আগের মাসেই সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের নিকট জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ধরা পড়েছিল ট্যাপ ক্যামেরায়। বন দফতরের লাগানো ওই ক্যামেরায় একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গলের ছবি মিলতেই নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা। কারণ ওই জায়গাটি গ্যাংটকের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ইয়ালি অভয়ারণ্যে। এবার পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পাহাড়ের রানী দার্জিলিংয়ের খুব কাছেই দেখা মিলল ব্ল্যাক প্যান্থারের। কার্শিয়ংয়ের কাছে রাতের শুনসান রাস্তায় এক গাড়ি চালক ওই ব্ল্যাক প্যান্থারটিকে ক্যামেরাবন্দি করেন। গাড়ির জোরালো আলোয় ওই প্যান্থারের দুটি চোখ জ্বল জ্বল করে উঠতেই তিনি গাড়ি থামিয়ে দেন। এরপর ওই ব্ল্যাক প্যান্থারটি রাজকীয় চালে ধীরে ধীরে রাস্তা পার করে আপন মনে চলে যায় জঙ্গলের দিকে। ওই গাড়ি চালক পুরো ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
ব্ল্যাক প্যান্থারকে বলা হয় ম্যালানিস্টিক লেপার্ড। এর আগেও বহুবার দার্জিলিং, কার্শিয়ংয়ে বহুবার ব্ল্যাক প্যান্থারের দেখা মিলেছিল। যদিও দার্জিলিংয়ের ডিএফও বিশ্বনাথ প্রতাপ জানিয়েছেন, এই ঘটনার কথা জানা নেই। তবে তিনি স্বীকার করে নেন, ওই এলাকার আশেপাশে ব্ল্যাক প্যান্থারের দেখা মিলতেই পারে। বন দফতরের আধিকারিক অবশ্য এটাও জানিয়েছেন, অনেক সময় জেনেটিক কারণে লেপার্ডের শরীরের রঙ কালো হয়। তাঁরা ব্ল্যাক প্যান্থার গোষ্ঠীভূক্ত নয়। ফলে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখেই সঠিক বলা সম্ভব হবে। স্থানীয় সূত্রে অবশ্য জানা যাচ্ছে, কার্শিয়ং থেকে কিছুটা দূরে ডাউহিলের সুনশান রাস্তায় এক গাড়ি চালক ওই ব্ল্যাক প্যান্থারের দেখা পান। তিনি ফেসবুকে সেই ভিডিও পোস্ট করতেই ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগে দার্জিলিংয়ের মানেভঞ্জন এলাকায় একটি ব্ল্যাক প্যান্থারের দেহ উদ্ধার করেছিল বন দফতর। পরে জানা যায়, দুটি বাঘের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দার্জিলিং বা কার্শিয়ংয়ে ব্ল্যাক প্যান্থারের দেখা পাওয়া কোনও বড় বিষয় নয়।
Discussion about this post