এই নিয়ে টানা তিনবার। রবিবার তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর তাঁর নেতৃত্বে কেন্দ্রে ফের সরকার গঠন করল এনডিএ। জোটসঙ্গীদের নিয়ে গড়া নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নিলেন। মন্ত্রিসভা গঠনে অভিজ্ঞতার উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিসভায় এমন ৪৩ জন রয়েছেন যাঁরা তিন বা তার বেশিবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এমনকি, ৩৯ জন এর আগেও মন্ত্রী ছিলেন। একাধিক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন মোদীর মন্ত্রিসভায়। রবিবার সন্ধ্যে ৭ টা ২৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতিভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মোদির সঙ্গে শপথ নিয়েছেন একগুচ্ছ মন্ত্রীও। জহরলাল নেহরুর পর এই প্রথম কেউ টানা তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন।
তবে বলতেই হচ্ছে সংঘের চাপে নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে সংঘের চাপ টের পেলেন মোদি। প্রাথমিকভাবে মোদীর শিবিরের পরিকল্পনা ছিল মোদী বিরোধী হিসেবে পরিচিত রাজনাথ সিং এবং নীতিন গড়কড়ির ডানা ছেঁটে দেওয়ার। কিন্তু দলকে এককভাবে জিতিয়ে আনতে ব্যর্থ হবার পর মোদিকে এখন ঢোঁক গিলতে হচ্ছে। সংঘ পরিবারের চাপে রাজনাথ সিং এবং নীতিন গড়করিকে যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে বিগ ফোরের মধ্যে আনতে হয়েছে। যে শিবরাজ সিং চৌহানকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে মোদীর শিবির সরিয়ে দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশে, সেই শিবরাজ সিং চৌহানকে যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে মোদিকে মন্ত্রিসভা জায়গা দিতে হয়েছে। সংঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ নির্মলা সীতারামন এবার নির্বাচনে লড়েননি। কারণ হিসেবে বলেছিলেন তার নাকি ইলেকশন লড়বার মত টাকা নেই। সেই নির্মলা সীতারমণই ফেরত এলেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী পদে।
তবে নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে একটা মর্যাদার ব্যাপার, চন্দ্রবাবু নাইডুর চাপ সত্ত্বেও অমিত শাহকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে রাখতে পেরেছেন। আগামী দিনে মোদী পরিবার সংঘ পরিবারকে চাপে রাখেন নাকি সংঘ পরিবার মোদীর উপর চেপে বসে, সেটাই দেখবার।
Discussion about this post