মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে কামব্যাক হেমন্ত সোরেনের। বৃহস্পতিবারই বিকেল পাঁচটার সময়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন হেমন্ত। বৃহস্পতিবার রাজভবনে ঝাড়খণ্ডের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার এক্সকিউটিভ প্রেসিডেন্ট। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন হেমন্তের বাবা শিবু, মা রূপি, স্ত্রী কল্পনা ও জেএমএমের শীর্ষনেতারা। এদিন শপথগ্রহণের পরে হেমন্ত বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে মানুষের স্বার্থে যাবতীয় কাজ করেছে এই মহাগঠবন্ধন সরকার। রাজনৈতিক উত্থান-পতনের সময় সেই কাজটা করেছিলেন চম্পাই সোরেন। কারণ আমি জেলে ছিলাম। আর আদালতের নির্দেশের রায়ের কারণে আমি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছি।’ এদিন, রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণান তাঁকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মাসেই জামিন পেয়ে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। জমি দুর্নীতি এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারির ঠিক আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত। অবশেষে জুন মাসে তাঁকে জামিন দেয় ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। বুধবার সন্ধে সাতটা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন চম্পাই সোরেন। রাজ্যপাল সিভি রাধাকৃষ্ণনের কাছে ইস্তফা জমা দেন। ইস্তফাপত্র গৃহীত হওয়ার পরেই সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপালের কাছে দাবি জানান হেমন্ত সোরেন।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সব পক্ষেরই শক্তির অদলবদল ঘটেছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোটের শক্তি কমে হয়েছে ৪৫। এর মধ্যে জেএমএম-র ২৭ জন, কংগ্রেসের ১৭ জন এবং আরজেডি-র ১ জন বিধায়ক আছেন। দুই জেএমএম বিধায়ক, নলিন সোরেন এবং জোবা মাঝি লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। আরেক বিধায়ক, সীতা সোরেন, বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ইস্তফা দিয়েছিলেন। আরও দুই বিধায়ক, চামরা লিন্ডা এবং লবিন হেমব্রমকে বহিষ্কার করেছে জেএমএম। বিজেপির শক্তিও ২৪-এ নেমে এসেছে। তাঁদের দুই বিধায়ক, ধুলু মাহাতো এবং মণীশ জয়সওয়ালও সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। জয়প্রকাশ ভাই প্যাটেল লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। তাকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।
Discussion about this post