সোমবার মণিপুর সফরে যান কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সোমবার হিংসা-বিধ্বস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যে যাওয়ার আগে অসমের কাছাড় জেলায় বসবাসকারী মণিপুরের বাস্তুচ্যুতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সোমবার সকাল ৯টায় শিলচর বিমানবন্দরে পৌঁছান রাহুল। এর আগে তিনি অসমে মণিপুরের বাস্তুচ্যুতদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর জিরিবাম পরিদর্শন করেন। চুড়াচাঁদপুর এবং বিষ্ণপুর জেলার মৈরাং-এর একাধিক ত্রাণশিবির ঘুরে দেখার পাশাপাশি রাজ্যপাল অনুসুইয়া উইকের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী। এরপরই শিলচর বিমানবন্দর হয়ে ইম্ফলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সোমবার সকালে রাহুলকে শিলচর বিমানবন্দরে স্বাগত জানান অসম এবং মণিপুরের কংগ্রেস নেতারা। প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর এই প্রথম উত্তর-পূর্ব ভারতে এলেন রাহুল।
এদিন মনিপুরে তিনি হিংসায় ঘরছাড়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। ২০২৩ সালের মে মাসে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে গোষ্ঠীহিংসা শুরু হওয়ার পর দু’বার মণিপুরে গিয়েছেন রাহুল। সোমবার তৃতীয় বারের জন্য সে রাজ্যে যান তিনি। জিরিবাম যাওয়ার পথে অসমের বন্যাদুর্গতদের জন্য যে ত্রাণশিবির করা হয়েছে, সেখানেও পরিদর্শনে যান রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদের। এই আবহেই আজ সভাপতি ভূপেন বোরাহের নেতৃত্বে অসম কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল রাহুল গান্ধীর কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে। যেখানে সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে অসমের বন্যার বিষয়টি উত্থাপন করার আবেদন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাহুলের এই সফরকে ঘিরে বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে। কংগ্রেসের বক্তব্য, বন্যায় বিপর্যস্ত অসমে তো বটেই, এখনও পর্যন্ত গোষ্ঠীহিংসায় দীর্ণ মণিপুরে যাওয়ার সময় পেলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু রাহুল বার বার উত্তর-পূর্ব ভারতে ছুটে গিয়েছেন। বিজেপির পাল্টা কটাক্ষ, রাহুল মানুষের দুর্দশা দেখতে পর্যটনে বেরিয়েছেন। এদিকে, রাহুল গান্ধীর সফর ঘিরে জেলায় নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হয়েছে। ড্রোন ব্যবহার করে এরিয়াল ফোটোগ্রাফি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বেলুন বা অন্যান্য জিনিসের ওড়ানোর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যদি কেউ নিয়ম ভঙ্গ করেন, তবে ভারতীয় ন্যয় সংহিতার ২২৩ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেই সতর্ক করা হয়েছে।
Discussion about this post