প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে অবশেষে বন্ধ ঘুরপথে যাতায়াতের রাস্তা। পরিণতিতে সড়কপথে দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিকিম। শিলিগুড়ি-সিকিম যোগাযোগের ‘লাইফ লাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ভূমিধসে অবরুদ্ধ গত ১২ দিন ধরে। এতদিন আলগাড়া-লাভা হয়ে ঘুরপথে সিকিমে যাতায়াত চলছিল। সেটাও বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হল প্রশাসনের তরফে। ফলে সিকিম কার্যত সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর সিকিমের সিংথামে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি ধসের চাপা পড়ে। গাড়িটি লিঙি থেকে সিংথামের দিকে আসছিল। মাখা সিংবেলের কাছে পাহাড় থেকে হুড়মুড়িয়ে রাস্তার উপরে ধস নেমে আসে। সেই সময় গাড়িটি ওই রাস্তা ধরেই যাচ্ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিশাল একটি পাথর গাড়ির উপর এসে পড়ে।
ফলে গাড়ির একাংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। গাড়িতে থাকা চল্লিশোর্ধ্ব এক মহিলার মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশের বাকি অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিংহ তামাং নিজে গোটা পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন। এদিকে সেলফিদাড়ায় পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির কাজও প্রায় শেষের দিকে। তার মধ্যে আবার নতুন করে ধস নামায় সমস্যা প্রশাসন। সিকিম ও কালিম্পংগামী রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ৷ লাভা হয়ে সিকিম ও কালিম্পংগামী রাস্তাটিতেও একাধিক জায়গা ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সড়কের ধস সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। তবে ওই রাস্তা দিয়েও ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ১৪ই জুলাই পর্যন্ত। যদিও ছোট গাড়ি ওই রাস্তায় চলাচল করছে। এদিকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত থেকে নতুন করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গ সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্যে। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলায় আগামী রবিবার পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। শুক্রবার অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলাতে। পাশাপাশি কোচবিহার ও কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
Discussion about this post