শিয়রে বর্ষা। কিন্তু দেশে বর্ষা প্রবেশের মুখে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কি ঘুর্ণীঝড় রেমাল? মৌসম ভবন সূত্রে জানা গেছে, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করলেও মূল ভূখণ্ডে এখনও প্রবেশ করতে পারেনি বর্ষা। তবে কেরলে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আগামী ১লা জুন থেকে কেরলে প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা। এখন শুধুই প্রহর গোনার পালা। অন্যদিকে, আই.এম.ডি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শুধু কেরলই নয়, ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে দক্ষিণ আরব সাগরের বেশ কিছু অংশ অর্থাৎ মলদ্বীপ, কমোরিন দ্বীপে। তবে খুব শীঘ্রই লাক্ষাদ্বীপ, কেরালা, দক্ষিণ-পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরীয় এলাকা এবং উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্যে বর্ষার আগমন ঘটবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
গত রবিবার মধ্যরাতে সুন্দরবন ও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকা খেপুপাড়ায় আছড়ে পরে ঘুর্ণীঝড় রেমাল। ফলে সোমবার ঘূর্ণীঝড় রেমাল পরিণত হয় গভীর নিম্নচাপে। যার জেরে দিনভর ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি সহ দক্ষিণ বঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। যদিও পরে সেই নিম্নচাপ মোড় নিয়ে এগিয়ে যায় উত্তর-পূর্ব দিকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতে বর্ষাকালের বৃষ্টি অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক কম হবে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এবছর বর্ষার বৃষ্টি অনেক কম হবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের অপেক্ষা উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে চলতি মাসের ৩১ তারিখ থেকে ১ লা জুনের মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করবে কেরলে। এরপর একে একে উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুর ও বারাণসীতে প্রবেশ করবে বর্ষা। তারপর বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় এবং সব শেষে রাজধানী দিল্লিতে প্রবেশ করবে বর্ষা। মনে করা হচ্ছে, বাংলায় বর্ষা প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ১০ই জুন।
Discussion about this post