লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপর্যয়ের জন্য নরেন্দ্র মোদীকেই দুষলেন পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। অযোধ্যায় বিজেপির হার নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি। মোদী যেন তাঁর সঙ্গে ‘টক্কর’ না-দেন, সেই হুঁশিয়ারিও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। রাষ্ট্রোৎকর্ষ সম্মেলন তথা দীক্ষা গ্রহণ উৎসব উপলক্ষে বুধবার ৩ দিনের কর্মসূচিতে বোলপুর এসেছেন শঙ্করাচার্য ও তাঁর শিষ্যরা। প্রসঙ্গত, রাম মন্দিরের বিরোধিতা করে তিনি জানিয়েছিলেন, সঠিক বিধি মেনে রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়নি৷ এদিন, তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন সঠিক বিধি মেনে হয়নি বলেছিলেন৷
তাহলে কি অযোধ্যায় বিজেপির ভরাডুবি রামকে নিয়ে রাজনীতির পরিনাম? তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রীর রামমন্দির উদ্বোধন করা উচিত হয়নি। অয্যোধ্যাবাসী-সহ দেশের মানুষ বিজেপিকে সঠিক জবাব দিয়েছেন। আমার সঙ্গে যারা টক্কর নেওয়ার চেষ্টা করেছে শেষ হয়ে গিয়েছে। মোদিজির উচিত আমার সঙ্গে টক্কর না নেওয়া। অযোধ্যায় মানুষ বিজেপির প্রার্থীকে হারিয়ে জবাব দিয়ে দিয়েছেন।
রামমন্দির উদ্বোধনে যদি ভালো প্রভাব পড়ত তাহলে বিজেপির অযোধ্যায় জিত নিশ্চিত ছিল। অযোধ্যাবাসী যে সহমত নয়, তা বুঝিয়ে দিল এই ভোটের রায়৷ অলৌকিক আচার না মানলে গণতন্ত্র থাকে না। প্রধানমন্ত্রীর রাজনেতা হওয়ার কারণে তাঁর রামমন্দির উদ্বোধন করা ঠিক হয়নি। এই পশ্চিমবঙ্গে জ্যোতি বসু আমার সঙ্গে টক্কর নিয়েছিল শেষ হয়ে গিয়েছে। লালুপ্রসাদ যাদব টক্কর নিয়েছিল।
মুলায়ম সিং যাদব টক্কর নিয়েছিল শেষ হয়ে গিয়েছে। মোদিজির উচিত আমার সঙ্গে টক্কর না নেওয়া। আকাশকে কি ঘুষি মারা যায়! আমরা সেই জায়গায় বিচরণ করি। যোগী আদিত্যনাথ আমাকে ছোট করার জন্য একটা আতঙ্কবাদীকে শঙ্করাচার্য বানিয়ে ঘোরাচ্ছিল। তবে ‘মুঝ সে জো টকরায়েঙ্গে চুর চুর হো জায়েগেঙ্গে এইরকম কথা আছে এটা মান্যতা দেওয়া উচিত।”
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনে যোগ দেননি পুরীর এই শঙ্করাচার্য। বিরোধিতা করে তিনি জানিয়েছিলেন, সঠিক বিধি মেনে রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়নি।
Discussion about this post