মহাসমারোহে অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল রামলালার। এই রামমন্দিরের প্রতিষ্ঠা বিজেপির ভোটবাক্সে বড়সড় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। এমনকি এই নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বিজেপির তাবড় নেতারাও। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথের গড় সেই উত্তরপ্রদেশেই ধরাশায়ী পদ্মশিবির। ফৈজাবাদে প্রায় ৩০ হাজার ভোটে সেখানে জয় পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি। এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী ভোটের আগে রাম মন্দির উদ্বোধন কোনভাবেই প্রভাব ফেলেনি উত্তরপ্রদেশে? এ বছর জানুয়ারি মাসে খানিকটা তাড়াহুড়ো করেই রামমন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তখনও মন্দির পুরোপুরি তৈরি হয়নি। কারোর কথা না শুনেই তড়িঘড়ি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন মোদি। ২০২৪ নির্বাচনে রামমন্দিরই সবথেকে বড় ইস্যু হয়ে উঠবে, বিজেপি রামমন্দিরকে সবথেকে বড় হাতিয়ার করবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সন্দেহের অবকাশ ছিল না। কিন্তু ২০২৪ নির্বাচনের অন্যতম বড় চমক দেখা গেল সেখানেই। রামমন্দির কাজে এল না। কাজে এল না রামলালার আশীর্বাদও। অযোধ্যা শহর যে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সেই ফৈজাবাদেই সমাজবাদী পার্টির কাছে গোহারা হারল বিজেপি। মঙ্গলবার ঘোষিত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপির নির্বাচনি জোট এনডিএ-র ওপর ভর করে মোদীর টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু বিরোধী জোটের বিস্ময়কর উত্থানে বিজেপি এক দশক পর পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।
বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৪০ আসন। আর এনডিএ এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩ আসন। অন্যদিকে জাতীয় প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এককভাবে ৯৯ আসন পেলেও তাদের ইনডিয়া জোট ২৩২ আসন জিতে নিয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলো সব মিলিয়ে ২০১৯ সালের নির্বাচনের চেয়ে ১০৩টি আসন বেশি পেয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির জোট এনডিএ হারিয়েছে ৬০টি আসন। বিজেপি বড় ধাক্কা খেয়েছে উত্তরপ্রদেশে, সেখানে ৮০টি আসনের মধ্যে এনডিএ জিতেছে ৩৬টি। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের সাফল্যে ৪৩টি আসন জিতে নিয়েছে ইন্ডিয়া জোট।
Discussion about this post