আজকাল ওজন কমাতে কত কিছুই না করতে হয়। ঠিকঠাক ডায়েট, সকালে উঠে ঘাম ঝরানো থেকে, ব্যায়াম, যোগা, শরীর চর্চা ইত্যাদি। কিন্তু এবার একটু অন্যরকম পন্থা দেখালো চিকিৎসা বিজ্ঞান। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে এবার কালো রঙের খাবারের উপর বিশেষ নজর রাখছেন চিকিৎসকেরা। কারণ কাল রঙের খাবারে বিভিন্ন রকমের খনিজ পদার্থ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইবারের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। জিম, যোগাসনের পাশাপাশি কালো রঙের খাবারে বিশেষ নজর রাখছে অধিকাংশ চিকিৎসক। তাই কাল রঙের খাবারকে খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
কালো ডাল
যে কোনো ডালেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। বিশেষ করে মুসুর ডালে। বিশেষ করে কালো রঙের মুসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থেকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে প্রোটিনের একটি বিশেষ গুরুত্ব থাকে। বিশেষ করে বিপাক হার বাড়াতে প্রোটিনের গুরুত্ব যথেষ্ট।
কালো চাল
সাদা ভাত আমরা সকলেই খাই, কিন্তু কাল চালের ভাত কখনো খেয়েছেন? অবাক হচ্ছেন? কিন্তু চিকিৎসকেরা এখন কাল চালের ভাত খোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। চিকিৎসকদের মতে কালো চাল পুষ্টির দিক থেকে সবার প্রথমে স্থান করে নেয়।পাশাপাশি কালো চালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। সাদা চালে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। সাদা চালের ভাত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক। কিন্তু কালো চেক শর্করার পরিমান খুব কম থাকে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সাথে কালো চলার ভাত খেলে আমাদের পেট দীর্ঘক্ষণ ভর্তি থাকে , ফলে সবসময় খিদে পায়না। কালো চালের মধ্যে আছে ‘অ্যান্থকায়নিনস ‘ যা একধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তাছাড়া গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকায় রক্তে শর্করার পরিমাণ একদমই বাড়েনা।
চিয়া বীজ
ওজন কমাতে চিয়া বীজের নিজের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের শরীরে দ্রুত মেদ ঝরাতেও চিয়া বীজের বিশেষ ভূমিকা থাকে। তাছাড়া চিয়া বিজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন থাকে যা আমাদের পেশিকে মজবুত করতে সাহায্য করে।তাছাড়া চিয়া বীজে কোলেস্টেরল কমানোর উপাদান থাকে। চিয়া বীজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের বিভিন্ন প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। চিয়া বীজকে তাই সুপার ফুড বোকা হয়। তবে চিয়া বীজ শুকনো খাওয়া ক্ষতিকর। তাই চিয়া বীজ আপনার প্রতিদিনের রেসিপিতে কিংবা তরলের সাথে মিশ্রিত করে খান। যার ফলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং শরীর যাবতীয় পুষ্টিও পাবে।
Discussion about this post