সাধারণত তুমুল ঝড় বৃষ্টি, বজ্রপাতে বিমানে দুর্ঘটনা ঘটে। সাধারণত দুই বিপরীত মুখী বায়ু কখন একে অপরকে ধাক্কা দেবে সেটা আগে থেকে বোঝা যায় না আর এখানেই বিপদের মুখে পরে বিমান।আগে থেকে বোঝা না যাওয়ায় এই দুর্যোগের মধ্যে চলে আসে এবং তার ফলেই বিমানে বিভিন্ন রকম বিপদ ঘটে। প্রচণ্ড ঝড় দুর্যোগের আবহাওয়ায় বিমান অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ঝড়ের সময় নিচেয় স্তরে ঠাণ্ডা হাওয়া থাকে এবং গরম হওয়া তখন পাক দিয়ে উপরে উঠতে থাকে।এই দুই হাওয়ার গতি ও অভিমুখ ভিন্ন হয়। অনেক সময় বিপরীত মুখী বায়ুপ্রবাহ এলোমেলো ভাবে বওয়ার কারণে বিমান চালক তার অভিমুখ ঠিক করতে পারেনা। অপরদিকে হওয়ার গতির মাঝে বিমান চলে আজকে প্রচণ্ড ঝাকুনি হয় বিমানে। তাছাড়া হওয়ার গতিবেগ তীব্র হলেও বিমানে ঝাকুনি হতে পারে। যাকে বিমান এয়ার টার্বুল্যান্স বলা হয়।
বিমানে হালকা ঝাকুনি হলে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়েন যাত্রীরা।
বিমানের ঝাকুনি আস্তে হলে তেমন কোনো সমস্যা হয়না। বিশেষ করে সিটবেল্ট পড়া থাকলে তেমন কিছু ঘটেনা। কিন্তু সিটবেল্ট না পড়লে সিট থেকে পড়ে যেতে পারেন যাত্রীরা।
তীব্র ঝাঁকুনি কিন্তু মারাত্মক বিপদ আনতে পারে। যেসব যাত্রীদের হৃদরোগের সমস্যা আছে তাদের প্রাণহানির মতন সমস্যা ঘটতে পারে।ঝাকুনি তীব্র থেকে অতি তীব্র হলে যাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন সিট থেকে পড়ে গিয়ে হাত – পা ভেঙে যাওয়া, মাথা ফেটে যাওয়া, হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনির ফলে হার্ট অ্যাটাকে হঠাৎ মৃত্যু।অন্যদিকে তীব্র ঝাঁকুনি যাত্রীদের প্যানিক অ্যাটাকের কারণও হতে পারে। যার ফলে বমি, মাথা ঘোরা, ভয়ে ও আতঙ্কে ব্ল্যাক আউট হয়ে যাওয়ার মতন ঘটনা ঘটতে পারে।
১০ টি পথে সবচেয়ে বেশি ঝাঁকুনির মুখে পড়ে বিমান
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিমানে ঝাঁকুনির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে আমেরিকায়। যাত্রীদের আহত হওয়ার খবর এলেও বিমানের তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই এই ১০ পথে হঠাৎ এয়ার টার্বুল্যান্সের মুখে পড়ে বিমান।
কী কী সেই পথ—
১) ল্যানঝো থেকে চিংরু
২) আলমাটি থেকে বিশকেক
৩) সান্তিয়াগো থেকে সান্তাক্রুজ
৪) সেন্ট্রায়ার থেকে সেন্ডাই
৫) ল্যানঝো থেকে জিয়াংইয়াং
৬) ওসাকা থেকে সেন্টাই
৭) মিলান থেকে জেনেভা
৮) মিলান থেকে জুরিখ
৯) জিয়াংইয়াং থেকে চেংড়ু
১০) জিয়াংইয়াং থেকে চংকিং
জলবায়ুর তাপমাত্রার পরিবর্তন, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতার ক্রমবর্ধমান উত্থান পতনের ফলে বিমান এয়ার টার্বুল্যান্সের মুখে পড়ে। তাছাড়া দিন দিন আবহাওয়ার ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন ঘটছে তার ফলে বিমান যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানের যাত্রীদের সব সময় সিটবেল্ট ব্যবহার করা দরকার। পাইলটের তরফ থেকে দুর্যোগের কথা ঘোষণা করলেই প্রথমে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাত্রীদের। তাছাড়া বিমানে উঠলে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়া সব থেকে বিপদজনক। তার বদলে মন শান্ত রেখে, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে থেকে মুক্ত হয়ে বিমান যাত্রা করুন।
Discussion about this post