উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা রইল না স্কুল সার্ভিস কমিশনের। কলকাতা হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত এখনই হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করছে না বলে জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। গত ২৮ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, এক মাসের মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানিয়েছিলেন, দুর্গা পুজোর আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু শুধু মেধাতালিকা প্রকাশ করলেই হবে না, দ্রুত নিয়োগ করতে হবে, এই দাবি তুলে চাকরিপ্রার্থীরা সোমবারই বিক্ষোভ করে। এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা চলছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত এই নিয়োগের বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। কলকাতা হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত এখনই হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করছে না বলে জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। অর্থাৎ নিয়োগ নিয়ে জটিলতা আর রইল না। রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের আপার প্রাইমারি শূন্যপদ নিয়োগ নিয়ে গত ২৮ অগস্ট রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৮ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের জট কেটেছে সেই রায়ে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, ৪ সপ্তাহের মধ্যে ১৪ হাজার ৫২ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পরের ৪ সপ্তাহের মধ্যে কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
Discussion about this post