বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা সম্ভাব কিনা তা খতিয়ে দেখে জানাক রাজ্য। না হলে ওই এলাকার সব পুজো বন্ধ করতে হবে। কলকাতা পুলিশ বিজ্ঞপ্তি বিরোধীতা মামলায় কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। প্রসঙ্গত,পুজোর মরশুমে শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা চত্বরে অবাঞ্ছিত জমায়েত রুখতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে কলকাতা পুলিশ। এখানে আগামী ২ মাসের জন্য জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা। মিছিল, ধর্না , রাজনৈতিক সভা তো বটেই, কোনও কারণেই জমায়েত করা যাবে না শহরের বিশেষ বিশেষ জায়গাগুলিতে। ২৫ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয় সিপিএম। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার দ্বিতীয়বার শুনানি হয়। শুনানিতে কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি বলেন,এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা সম্ভাব কি না তা খতিয়ে দেখে জানাক রাজ্য না হলে ওই এলাকার সব পুজো বন্ধ করতে হবে। শুক্রবার শুনানিতে রাজ্য জানায় সিপির এই বিজ্ঞপ্তি কার্যত রুটিন বিজ্ঞপ্তি। এই বিজ্ঞপ্তি ৬ মাস পর পর বাড়ানো হয়। কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত এই ১৬৩ ধারা প্রয়োগ থাকে সব সময়। গত নভেম্বরে ও হয়েছিল। এবার সেটার এক্সটেনশন হলো। এবার শুধু বেন্টিক স্ট্রিট নতুন যুক্ত করা হয়েছে। বিচারপতি রাজ্যের কাছে পাল্টা জানতে চান, এই থানা এলাকা গুলোয় অনেক পুজো হয় সেগুলোর কি হবে? সিপিআইএম এর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, কলেজ স্কোয়ারে, বৌবাজার হয়ে ধর্মতলা মিছিল। কত লোক মিছিলে হাঁটবে এই পরিস্থিতিতে এটা বলা সম্ভব নয়। দুপক্ষের সাওয়াল জবাব শোনার পর বিচারপতি বলেন, আগামী সোমবার মামলা থাকবে। তার আগে পুলিশ যদি অনুমতি দেয় তাহলে মিটে গেলো, না হলে সেদিন কোর্ট নির্দেশ দেবে। পাশাপাশি বিচারকের পর্যবেক্ষণ এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করার সুযোগ আছে কি না সেটা আগামী দিনে জেনে আসুন। না হলে ওই এলাকায় সব পুজো বন্ধ করতে হবে।
জেলায় জেলায় ট্যাব 'দুর্নীতি'। বাদ নেই কলকাতাও! যাঁরা জড়িত, তাঁদের গুলির করে মারার নিদান দিলেন বাঁকুড়া তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী।...
Read more
Discussion about this post