উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন লিখে গ্রেপ্তার হওয়ার সাংবাদিকের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করল ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। উত্তর প্রদেশের সাংবাদিক মমতা ত্রিপাঠি জাত পাত ও বৈষম্যের অভিযোগ তুলে উত্তর প্রদেশের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন লিখেছিলেন। ফলস্বরূপ তার বিরুদ্ধে ৪টি এফআইআর করা হয়। আদালত তার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া ফৌজদারি কার্যধারা বাতিল করার জন্য ত্রিপাঠির আবেদনে ইউপি সরকারের প্রতিক্রিয়ার জন্য আরও আহ্বান জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি.আর গাভাই, প্রশান্ত কুমার মিশ্র এবং কেভি বিশ্বনাথন- এর একটি বেঞ্চ সাংবাদিক-মমতা ত্রিপাঠীর পক্ষে এই আদেশ দিয়েছেন। আদেশটি নির্দেশ করে, বিচারপতি গাভাই বলেছিলেন, “ইতিমধ্যে, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে বিষয় নিবন্ধগুলির সাথে সম্পর্কিত আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোনও জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।” এই বিষয়ে আর একটি মামলার প্রসঙ্গ আদালতে উঠে এসেছে। এর আগে অভিষেক উপাধ্যায় নামে আর একজন সাংবাদিক জাত-পাত সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন লেখায় উত্তর প্রদেশ সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অভিষেক। গত ৪ঠা অক্টোবর আদালত আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা প্রদান করে এই বলে যে, “সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যাবে না কারণ তাদের লেখাগুলিকে সরকারের সমালোচনা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।” বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং এসভিএন ভাট্টির একটি বেঞ্চ আদালতের আদেশের পর্যবেক্ষণ করে জানায়, “গণতান্ত্রিক দেশগুলিতে, নিজের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করা হয়। ভারতের সংবিধানের ১৯(১) (এ) অনুচ্ছেদের অধীনে সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষিত হয়। একজন সাংবাদিকের সরকারের সমালোচনামূলক লেখাকে শুধুমাত্র অপরাধীকরণ করে লেখকের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত নয়।” বরিষ্ঠ আইনজীবী সিদ্ধার্থ দাভে, মমতা ত্রিপাঠীর পক্ষে সাওয়াল করে দাবি করেছেন যে, এ যাবৎ ৪টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং আদালত ১টি এফআইআরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এটি একটি নিখুঁত হয়রানির মামলা, কারণ যখনই সাংবাদিকরা কিছু টুইট করেন; তা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের তাদের গাড়িতে লাল বাতি ব্যবহার করা নিয়েই হোক বা ঠাকুর এবং ব্রাহ্মণদের মধ্যে জাতপাত সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েই হোক, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। বেঞ্চ উত্তর প্রদেশ সরকারকে নোটিশ জারি করেছে এবং ত্রিপাঠিকে তার লেখা ৬টি নিবন্ধের প্রসঙ্গে ৪ সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ শীঘ্রই সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করতে পারে , সেনাবাহিনী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণ করে ক্ষমতা গ্রহণের সম্ভাবনা...
Read more
Discussion about this post