সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করল দল। তন্ময়ের বিরুদ্ধে এক মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। তন্ময়ের বিরুদ্ধে বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই সাংবাদিক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রবিবার সন্ধেয় দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি জানিয়েছেন, যত দিন তদন্ত হবে, তত দিন সাসপেন্ড থাকবেন তন্ময় ভট্টাচার্য। দলের ইন্টারন্যাল কমপ্লেন কমিটি তদন্তের পর যা সুপারিশ করবে, সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুণ্ণ তন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “একটি মেয়ে অভিযোগ করা মানেই যে সাসপেন্ড করতে হবে, দল যদি এটা মনে করে, তাহলে ঠিক কাজ করেছে। কাল অন্য কারও বিরুদ্ধে যদি কোনও মেয়ে অভিযোগ করে, তাঁকেও সাসপেন্ড করবে। এই রুটিনে যদি দল চলে যায়, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আমি আশা করেছিলাম, দল আমার কথা শুনবে। রাজ্য সম্পাদক হোয়াটসঅ্যাপে কিছু জানতে চেয়েছিলেন। আমি জানিয়েছিলাম। তারপরও এই সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের পরিবার বামপন্থী হিসেবেই পরিচিত। আমি মাথা উঁচু করে বামপন্থার সঙ্গে ছিলাম। মাথা উঁচু করেই থাকব। যদি কেউ মনে করেন, আমাকে হেনস্থা করে আমার রাজনৈতিক আদর্শ থেকে বিদ্যুত করতে পারবেন, তাহলে তিনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন।” এখানেই শেষ নয় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বামপন্থী তথা অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও তার প্রতিক্রিয়া দেন। শ্রীলেখা বলেন, “এটা না সম্পূর্ণ না পারছি গ্রহণ করতে আবার সম্পূর্ণ না পারছি এড়িয়ে যেতে। আমি দু’ভাবে দেখার চেষ্টা করছি, মেয়েটার দিক থেকে এবং তন্ময় দার দিক থেকে। আমি খুব সাধারণ উদাহরণ দিয়ে বলছি যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়, তখন মহিলা মনে করেন যে আমি যে কথাটা বললাম সেটা বুঝলো না, তাহলে আমি ঠিক আমার স্বামী ভুল। আবার স্বামী মনে করে যে এটা আবার এমন কী বিষয় আছে, আমি এটাই বলব যে এটাতে বোঝা না বোঝার কী বিষয় আছে। যে কোনও বিষয়ের আসলে দুটো দিক থাকে। আসি আমার অভিজ্ঞতা, আমি দু’জনকেই চিনি। এই মেয়েটি আমার ইন্টারভিউ নিতে এসেছিল তারপর থেকে আমার সঙ্গে কথাবার্তা হয়, মেয়েটিকে আমার ভাল লেগেছিল। মেয়েটি যেটা বলেছে সেটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো কথা নয়। ঘটনাটা হল আমার সঙ্গে তন্ময়দার যে দারুণ সম্পর্ক বা রোজ কথা হচ্ছে এমনটা নয়, আমি তন্ময়দার প্রচারে গিয়েছি, ব্লাড ডোনেশনে গিয়েছি। আমি যতটা দেখেছি তন্ময়দা ভীষণভাবে হুল্লোড়বাজ, ইয়ার্কি করে, মজা করে, চিরতরুণ একটা হাবভাব, জেভিয়ার্সে পড়া একজন বরিষ্ঠ নেতা। আমি যদি সেটা তন্ময়দার দিক থেকে দেখি তাঁর কাছে হয়ত একটা মেয়ের গায়ে হাত দিয়ে কথা বলাটা কোনও আহামরি বিষয় নয়।” রবিবার রাত ৮টা ৩৩ মিনিটে কুণাল তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছেন, “তরুণী সাংবাদিকের শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত সিপিএমের মহান কমরেড, সদ্য বরানগরে প্রার্থী হওয়া তন্ময় ভট্টাচার্য। ক’দিন ধরে নাটক করা, জ্ঞান দেওয়া, বাণী ছড়ানো, রাত জাগা সিপিএমের চারাপোনাদের পোস্ট কই? হবে নাকি গ্রেপ্তার চেয়ে মানববন্ধন? বানতলা, ধানতলা, কোচবিহার, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম থেকে সুশান্তর খাট হয় এখন তন্ময়; সিপিএম আছে সিপিএমেই।”
শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর মামলার পঞ্চম দিন হলেও এই মামলায় ধৃত সঞ্জয় এই নিয়ে তৃতীয় দিন হাজিরায় উপস্থিত থাকছে। আজ...
Read more
Discussion about this post