আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় দাবি করেছিল, সে ধর্ষণ ও খুন করেনি। বরং তাকে ‘ডিপার্টমেন্ট’ ও সরকার ফাঁসাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল। এই আবহে এবার ‘দফতরের প্রধান’কে জেরা করার দাবি তুলেছেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘অভিযুক্ত আজ বলেছে, সে খুন ধর্ষণ করেনি। ডিপার্টমেন্ট তাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছে। ডিপার্টমেন্টের প্রধান কে? সিবিআই দু’শ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থে আরও একজন, অর্থাৎ ডিপার্টমেন্টের প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না কেন? নাকি সেটিংয়ের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না?’ এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোর্টে দাবি করেছে যে, ‘বায়োলজিক্যাল এভিডেন্সের’ ভিত্তিতে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সঞ্জয়ের দেহের নমুনা এবং অন্যান্য অনেক ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১২৮ জনের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে আদালতে নথি জমা দিয়েছে সিবিআই। আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর বিভিন্ন পোশাক, কম্বল, বিছানার চাদর, কাপড়ের টুকরো, ম্যাট্রেসের টুকরো, সিন্থেটিক তুলো কলকাতা পুলিশ সংগ্রহ করে। এছাড়াও নমুনা হিসাবে সংগ্রহ করা হয় নির্যাতিতার নখ, রক্ত, ঠোঁট, যৌনাঙ্গের সোয়াব। ঘটনাস্থল থেকে চুলও উদ্ধার হয়। এছাড়াও অভিযুক্ত সঞ্জয়ের প্যান্ট ও স্লিপার উদ্ধার হয় তার ব্যারাক থেকে। ক্রমে ওই নমুনাগুলি সিবিআই কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। সিবিআই সূত্রের খবর নির্যাতিতার যৌনাঙ্গ থেকে যে তরল পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে তার সঙ্গে কোন পুরুষের সিমেনের খোজ নেই। এক্ষেত্রে নির্যাতিতার বাকি শরীরের অংশ থেকে যে সোয়াব উদ্ধার হয়েছে সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। কারণ, সোয়াবের ডিএনএ পরীক্ষা না হলে কোনওমতেই বোঝা সম্ভব নয় যে, আসল অপরাধী কে। বিশেষ করে ধর্ষণের অভিযুক্ত কতজন, তার জন্যও প্রয়োজন ডিএনএ পরীক্ষা। ওই নমুনাগুলোই সিবিআইয়ের পরিভাষায় ‘বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স’।
আর জি কর কাণ্ডে সরাসরি গর্জে উঠেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের এনকাউন্টারের নিদান দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু এই বিষয়ে...
Read more
Discussion about this post