প্রয়াত মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব বর্মন। পিতৃহারা হলেন রাইমা সেন ও রিয়া সেন। মঙ্গলবার, সকালে এই ঘটনা সামনে আসতেই মন খারাপ টালিগঞ্জে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেব বর্মন পরিবারে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। অসুস্থার কারণে তাঁকে তড়িঘড়ি ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তবে যাওয়ার আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভরত দেব বর্মন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু ঘটে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালে মুনমুন সেনের সঙ্গে বিবাহ হয় ভরত দেব বর্মনের। তারপর ৪৬ বছরের সংসার যাপন।
সকালে এই ঘটনা ঘটলেও শহরে ছিলেন না মুনমুন সেন ও রাইমা সেন। খবর পাওয়া মাত্রই কলকাতায় ফেরেন তাঁরা। এই খবরে শোক জ্ঞাপন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালিগঞ্জের বাড়িতে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান মুখ্যমন্ত্রী। বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, মুনমুন সেন দিল্লিতে রয়েছেন। রাইমা সেন রয়েছেন জয়পুরে। তারা কলকাতার উদ্দ্যেশে রওনা দিয়েছেন।
তারপর মুখ্যমন্ত্রী স্মৃতীচারণ করে জানান, সুচিত্রা সেন একটা সময়ের পর সমকিছু থেকে নিজেকে আড়াল করে নিয়েছিলেন। শেষবেলাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করতে চেয়েছিলেন। শেষবেলায় দেখাও হয়েছিল। পরবর্তীতে মুনমুন সেনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তারও মজবুত হয়। রাজনীতির ক্ষেত্রে পা দেন মুনমুন। তাই তার স্বামী ভরত দেব বর্মনের মৃত্যুর খবর সামনে আসেতই তিনি ছুটে আসেন। এমনকি দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে থাকতে।
Discussion about this post