সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পরে বাংলাদেশে তৈরি হওয়া অস্থিরতা এবং নয়াদিল্লি-ঢাকা স্নায়ুর লড়াইয়ের মধ্যে ভারতকে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিল মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। রবিবার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের সংবর্ধনা এবং সেনাবাহিনীর শান্তিকালীন পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে আসেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান। সেখানেই, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করছে। সামনে আরও কঠিন সময় আছে। সবাই মিলে কাজ করলে দেশকে এই ক্রান্তিলগ্ন থেকে উদ্ধার করা সম্ভব। এরপরই মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের কাছে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের আর্জি, ‘সামনে আরও সময় আছে। একটু কঠিন সময় পার করতে হবে আমাদের। আমরা যেন দেশ ও জাতিকে একটা ভালো জায়গায়, একটা নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারি সেজন্য দোয়া করবেন।’ স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেনাবাহিনী গঠনে অবদান রাখায় মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সেনাবাহিনী প্রধান।তার মতে, ‘আপনাদের অবদানের ফলশ্রুতিতেই আজকের এই সেনাবাহিনী দাঁড়িয়ে আছে। সেনাবাহিনী দেশের ক্রান্তিকালে অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে। দেশ এবং জাতি এই সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনাসদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাছাড়াও দেশ ও জাতি গঠনের বিভিন্ন কাজে আমরা নিয়োজিত আছি।’ এই প্রসঙ্গে অবশ্য পাল্টা বিএনপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তাঁরা সরকারে নেই। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার কী ভাবে বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করছে সে ব্যাপারে তাঁদের কোনও হাত নেই। এক বিএনপি নেতার কথায়, ‘এই কারণেই আমরা দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক একটি সরকার চাইছি, যাকে অন্য দেশ সম্মান করবে। সে ক্ষেত্রে সেই সরকারের নির্দিষ্ট বিদেশনীতি, কর্মসূচি, প্রতিবেশী নীতি থাকবে। আবার এটাও ঘটনা, গত ১৫ বছরে আমাদের বিরুদ্ধে এক লাখ ৬২ হাজার মামলা হয়েছে, যার মধ্যে অনেক হিন্দুও রয়েছেন। তখন তো ভারত কিছু বলে না। যে কারণেই হোক আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের বেশি পছন্দ করে। কিন্তু রাজনীতি করলে তিনি আওয়ামী লীগের পরিচয়ে চিহ্নিত আর কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ হলেই সে সংখ্যালঘুর পরিচয় নেবে, এটা তো ঠিক নয়।’ অবশ্য, প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ঢাকা জানিয়েছেন, “ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে, আমরা তা প্রশমিত করতে চাইছি। এই উত্তেজনা অনলাইনে কৃত্রিম ভাবে ছড়ানো হচ্ছে। আমি ভারতীয় সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, তাঁরা এসে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখে তারপর সিদ্ধান্তে আসুন। কিছু ঘটনা ঘটেছে যা নিন্দনীয়, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। চট্টগ্রামে পুলিশি নিরাপত্তা কতটা বাড়ানো হয়েছে তা আপনারা সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে কথা বললেই বুঝতে পারবেন।” তাঁর কথায়, “ইসকনের সব ধর্মীয় নেতার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের নিষিদ্ধ করার কোনও প্রশ্ন কখনও ওঠেইনি। ভারতের কাছে ভুল ব্যাখ্যা যাচ্ছে। কোনও ধর্মীয় সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা আমাদের লক্ষ্য নয়।”
বাংলাদেশের পূর্ব প্রান্তের দেশ মিয়ানমার। যেখানে এখন চলছে তীব্র গৃহযুদ্ধ। একদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অন্যদিকে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এমন মোট ৮টি...
Read more
Discussion about this post