বিগত কয়েকমাস ধরে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ফাটল চওড়া হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে শুরু করে মালদার মহদিপুর সীমান্ত, বনগাঁর পেট্রাপল সীমান্তে বাড়ানো হল নজরদারি। সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্যিক আদান-প্রদান বন্ধ করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় টহলদারি বাড়িয়েছে সেনা। সীমান্ত এলাকাগুলিতে দুপুরের পর থেকেই সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই পদত্যাগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। তারপর বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয় নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে মামলা রয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। মো: ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি এই মামলাটি করেন। তারপর থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। এরপরেই ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের তরফে হাই অ্যালার্ট জারি করে দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, এবার এই আবহেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকল্প পথের কথাও ভাবছে ভারত। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম-মনিপুর সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে তাক করা হয়েছে পিনাকা গাইডেড মিসাইল। যার রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমানু অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপনাস্ত্র। ইতিহাসে প্রথমবার বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের এই বিপুল সেনা মোতায়েন নিঃসন্দেহেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারের। অর্থাৎ বাংলাদেশকে চারিদিকে ঘিরে ফেলছে ভারত। যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউনূসের। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আগের পরিস্থিতি ঠিক হতে না হতেই কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের কট্টরপন্থী মুসলিমরা সেদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল। এমনকি এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যায়িত করে চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল। না হলে ইসকন ভক্তদের ধরে ধরে হত্যা করারও হুমকি দেয় তারা। বিষয়টি নিয়ে ভারত ও আমেরিকার সাহায্যের আবেদন জানান ইসকনের এক সদস্য। কট্টরপন্থী মুসলিমদের সামাজিক মাধ্যমে হুমকির পরই আতঙ্কিত হয়ে এই আবেদন জানান তাঁরা। এমন অবস্থায় চুপ করে বসে নেই নয়াদিল্লিও। সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ভারত বিরোধীতা নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে সেই প্রতিক্রিয়া পেতেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে ইউনিসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থিত মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি। ভাঙচুর চলছে একাধিক মন্দিরে। যা নিয়ে আতঙ্কিত বাংলাদেশের হিন্দুরা।
ফের বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান! এবারও কি বাংলাদেশের ক্ষমতা হাতে তুলে নিতে উদ্যোত সেনাবাহিনী? আর এই গুঞ্জন যেন বাংলাদেশের অন্দরে মাথা...
Read more
Discussion about this post