ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে গর্জে ওঠার আহ্বান জানালেন শেখ হাসিনা। পাঁচদিনের মাথায় ইউনুস সরকারের চারমাস বয়স হতে চলেছে। এমন সময় দেশবাসীর উদ্দেশে হাসিনার এই বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। দেশবাসীর উদ্দেশে হাসিনা বলেছেন, যিনি যেভাবে পারেন প্রতিবাদ করুন। তবে আইন হাতে তুলে নেবেন না। যা করার আইনি পথে করুন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, অনেক হয়েছে। এবার প্রতিবাদ করার সময় এসেছে। ইউনুস সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, ‘দেশে এখন ক্রিমিনালরা জোট বেঁধেছে। যারা শুধু টাকা আর অস্ত্র চেনে।’ সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ইসকনকে সেদেশে নিষিদ্ধ করার দাবিও ওঠে, যা খারিজ হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবারই। আর সেই আবহেই মুখ খুলেছেন হাসিনা। সংরক্ষণবিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়ার পর থেকে ভারতের আশ্রয়েই রয়েছেন হাসিনা। এই মুহূর্তে দিল্লিতেই রয়েছেন তিনি। আর সেখান থেকেই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। হাসিনা যে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, তাতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার তীব্র নিন্দা করছি আমি। এই নৃশংস অপরাধের জন্য দায়ী যাঁরা, তাঁদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার চরম ভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। একজন আইনজীবী তাঁর পেশাগত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন, তাঁকে যারা পিটিয়ে মারল, তারা সন্ত্রাসবাদীর তুলনায় কিছু কম নয়। তারা যে-ই হোক না কেন, শাস্তি দিতে হবে। ইউনূসের অসাংবিধানিক এই সরকার যদি দোষীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাদের ঘাড়েও মানবাধিকার রক্ষা করতে না পারার দায় বর্তাবে’। সব দিক দিয়ে যখন কোনঠাসা মুহাম্মদ ইউনুস সেই আবহাওয়া প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করলেন তিনি। বাংলাদেশে সমস্ত সংখ্যালঘুর নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ফোন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রথম মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেন নোবেলজয়ী ইউনূস। এই ফোনালাপের কথা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন মোদী। মোদী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে। গণতান্ত্রিক, স্থায়ী, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের জন্য ভারতের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। উনি আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে।’’ সম্প্রতি ইউনূস অভিযোগ তোলেন, হাসিনার দেড় দশকের শাসনকালে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের প্রশাসনিক পরিকাঠামো। ফলে মানুষের আস্থা ফেরানো, গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর বড় দায়িত্ব এসে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর। হাসিনার সরকারের পতনের পর তদারকি সরকার গঠন হয়েছে সে দেশে। যার প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, কবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে। তবে ইউনূস জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে অর্থনীতি, প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা এবং আমলাতন্ত্রে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।
ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল সে দেশের অন্তবর্তী সরকার। যদিও ভারতের তরফে...
Read more
Discussion about this post