কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের করাচির কোনও পণ্যবাহী জাহাজ নোঙর করল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে। বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি জলপথে যোগাযোগ তৈরি হল বুধবারের এই ঘটনায়। জানা গেছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে জাহাজটি। এটিই ছিল করাচি থেকে সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে নোঙর করা প্রথম কোনও জাহাজ। জাহাজটি দুবাই হয়ে আসার পথে একাধিক বন্দরে ভিড়েছিল। চট্টগ্রামের আগে ভিড়েছিল করাচিতে। পানামার পতাকাবাহী জাহাজটির নাম উয়ান জিয়াং ফা ঝান। করাচি থেকে আসা এ জাহাজে ৩৭০টি কনটেনারে ভরা পণ্য ছিল। যা নিয়ে দুশ্চিন্তা সে ছিলনা ভারতের। পণ্য আমদানি রপ্তানির মাধ্যমে কাছাকাছি আসতে চলেছে ভারত পাকিস্তান। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছিল ভারত। এবার জানা যাচ্ছে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে জঙ্গি আমদানি করছে এই ইউনূস সরকার। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে মহম্মদ ইউনুস দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক নির্মাণের সম্ভাবনা নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ৭১-এর মুক্তযুদ্ধের স্মৃতি কি তাহলে মুছে যাবে ইতিহাস থেকে?এমনটা হলেও খুব আশ্চর্যজনক কিছু হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যেই শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ বলে মানতে নারাজ। তবে বাংলাদেশে জঙ্গিদের বারবার আনতে নাজেহাল সাধারণ জনজীবন। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের জেল থেকে একাধিক জঙ্গিকে জামিন দেন অন্তর্বর্তী সরকার। খবর আসছে, ইউনূসের স্পর্ধাতেই বাংলাদেশের জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত। শেখ হাসিনা জমানার পতনের পরেই বাংলাদেশে শুরু হয়েছে জঙ্গি আর মৌলবাদীদের আস্ফালন। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের মদতে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হিয়বুত তাহরী, হুজি জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের পতাকা নিয়েও রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রকাশ্যেই মিছিল করছেন মৌলবাদীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের হাতে তিনিই তুলে দিয়েছিলেন বিদেশি অস্ত্র। আন্দোলনের সময়ে পুলিশ নিধনে সেই বিদেশি অস্ত্রই ব্যবহার করেছিলেন ইসলামী ছাত্র শিবির ছাত্র দলের ক্যাডাররা। শেখ হাসিনার পতনে দু’হাতে ছড়িয়ে ছিলেন টাকা। এবার সেই কুখ্যাত অস্ত্র ব্যবসায়ী তথা পাচারকারী ববি হাজ্জাজের সঙ্গে এক মঞ্চে হাজির হলেন মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব তথা হিন্দু নিধন যজ্ঞের অন্যতম পুরোধা শফিকুল আলম। এখানেই শেষ নয়। শেখ হাসিনার জমানায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর প্রথম সারির নেতা ছিলেন মাহফুজ আলম। পাকিস্তানি আইএসআইয়ের ‘ডিপ অ্যাশেট’ হিসাবে পরিচিত নেতা ক্ষমতার পালাবদলের পরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী পদে আসীন হয়েছেন। আর সরকারি পদ বাগিয়ে ভারতে নাশকতা চালাতে নয়া খেলা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই ক্ষমতা খাটিয়ে জেল থেকে সতীর্থ হিযবুত তাহরীর কুখ্যাত জঙ্গিদের ছেড়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে দেশজুড়ে চরম অশান্তির মুখে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। তার আগে প্রবল অশান্তি তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশে। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। এরপর সেখানে তৈরি হয় নতুন অন্তর্বর্তী সরকার, দায়িত্বে মহম্মদ ইউনুস। তার পরেই বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছাকাছি আসার ঘটনায় রাজনৈতিক তাৎপর্যও দেখছেন অনেকে।
গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন রসায়ন খুবই মধুর হতে শুরু করেছে। প্রায় ৫০...
Read more
Discussion about this post