আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হামলা ও পতাকা পোড়ানোর পর দিল্লিকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন ও ছাত্রদের সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গত দেড় দশকে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছানোর কথা বলা হতো ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে পতন হয়েছে সেই সম্পর্কের। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক মোটামুটি সচল থাকলেও ভিসা বন্ধ। জনসাধারণ পর্যায়েও সম্পর্কের একটা বড় অবনতি হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের ভারত বিরোধী একটা অবস্থান এবং এর প্রকাশ দেখা গেছে। ভারতের সেভেন সির্স্টার্সকে টার্গেট করে বক্তব্য, হুঁশিয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় উদ্বেগ ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ভারতে। ভারতের ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা করছেন বহু বছর ধরে। মিজ দত্ত বিবিসিকে অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার প্রসঙ্গে ভারতের ভাবনা কেমন সেটা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, “ফ্রম ইন্ডিয়ান পয়েন্ট অফ ভিউ ইন্টেরিম গর্ভমেন্ট, এটাতো একটা এক্সপেরিমেন্টাল গর্ভনমেন্ট, এটাতো কনস্টিটিউশনালি ম্যান্ডেটেড না। আমাদের একটা কমফোর্ট জোনতো ছিল। সেই কমফোর্ট জোনটা কোথাওতো মনে হচ্ছে সরে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ চলে যাওয়াতে আমাদের মেইন দুর্বলতা হচ্ছে যে আমাদের যে সিকিউরিটি কনসার্নগুলো অন্য কেউ বুঝবে কি না। সেটার একটা হিস্ট্রি আছে ধরুন ২০০১-২০০৬ সেই সময়ের কথা বলছি। সেই সময়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যে সম্পর্কটা সেটা আমি ত্রিশ বছরে বলবো সব চেয়ে খারাপ ছিল।” এরপরই বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সোমবার রাতে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে ভারতের অভিযোগ খণ্ডনে ব্রিফ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ঢাকার সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, বৈঠকে ভারত সরকারের সমালোচনা, অভিযোগের মোকাবিলায় তৌহিদ হোসেন ভারতের সংবাদমাধ্যমকেই মূল নিশানা করেন। বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য ভারতের সংবাদমাধ্যম মূলত দায়ী। তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকার জন্যই দুই দেশের মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। তিনি নাম না করে বাংলাদেশের মিডিয়ার একাংশেরও সমালোচনা করেছেন। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বাংলাদেশের দুটি জনপ্রিয় দৈনিক কয়েকটি মৌলবাদী সংগঠন বিক্ষোভ করে, হামলা চালায়। অভিযোগ করা হয় ওই সংবাদপত্র দুটি ভারতের দালাল। তবে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সামনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চলতি অস্থিরতার দায় মূলত ভারতীয় মিডিয়ার উপর চাপানোয় সংবাদমাধ্যমের অমর্যাদার বিষয়টি তো আছেই, বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা আরও তীব্র হল বলে মনে করা হচ্ছে।
ফের বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান! এবারও কি বাংলাদেশের ক্ষমতা হাতে তুলে নিতে উদ্যোত সেনাবাহিনী? আর এই গুঞ্জন যেন বাংলাদেশের অন্দরে মাথা...
Read more
Discussion about this post