মাঝ সমুদ্রে ডুবে যাওয়া ভারতীয় কার্গো জাহাজের ক্রু’দের উদ্ধার করেছে পাকিস্তানের নৌ বাহিনী। বুধবার ইরান থেকে গুজরাটের বন্দর নগরী পোরবানদারে ফেরার জন্য রওনা দিয়েছিল ‘এমএসভি আল পিরানিপির’ নামের একটি জাহাজ। রওনা দেওয়ার এক পর্যায়ে ইরানের জলসীমা অতিক্রম করে পাকিস্তানের এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোনে প্রবেশের পর ডুবে যায় ১২ জন ক্রু নিয়ে এগিয়ে চলা জাহাজটি। এসময় ডুবে যাওয়া ভারতীয় জাহাজটির ক্রুদের উদ্ধারে সহায়তার জন্য মুম্বাই থেকে যোগাযোগ করা হয় পাকিস্তান সিকিউরিটি এজেন্সি- পিএমএসএ’র সাথে। খবর পেয়ে ভারতীয় জাহাজ আর ক্রু সদস্যের উদ্ধারে তৎক্ষণাৎ যৌথ অভিযান চালায় পাকিস্তান। জীবিত উদ্ধার করা হয় জাহাজে থাকা সবাইকে। উদ্ধারকৃতদের ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গান্ধীনগরের দফতরে ওই তথ্য যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ ‘সার্থক’কে পাঠানো হয় উদ্ধার অভিযানে। খবর দেওয়া হয় পাকিস্তানের সমুদ্র নিরাপত্তা সংস্থার যোগাযোগ কেন্দ্রেও। উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান থেকেও দ্রুত সহযোগিতা করা হয় উদ্ধার অভিযানে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজকে সাহায্যের জন্য পাকিস্তানি সমুদ্র নিরাপত্তা সংস্থার একটি বিমানকে পাঠানো হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ‘সার্থক’ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই ওই ১২ জন ডুবন্ত জাহাজটি ত্যাগ করেন। তাঁরা একটি ছোট নৌকায় সমুদ্রে ভাসছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে উদ্ধার করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। পরে এক বিবৃতিতে ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ অভিযানকে একটি ‘মানবিক’ উদ্ধার অভিযান হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। ওই ১২ জনকে উদ্ধারের পর উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজেই তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। পিটিআই জানিয়েছে, সকলেই সুস্থ রয়েছেন এবং তাঁদের গুজরাতের পোরবন্দরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পাকিস্তানের সমুদ্র নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর মুম্বই দফতর থেকে তারা একটি জরুরি ইমেল পান। ডুবন্ত জাহাজের কথা তাদের জানানো হয় ওই ইমেলে।
Discussion about this post