মহম্মদ ইউনুসের সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা না করতে দেশের সেনা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৫ অগাস্ট গণ অভ্যত্থানের মুখে দেশ ছাড়ার পর এই প্রথম দেশের সেনা বাহিনীর উদ্দেশে অনেক কথা বলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সেনা বাহিনী, বিশেষ করে তরণ সেনা অফিসারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সতর্ক করেছেন তিনি। দেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার বেশি রাতে আওয়ামী লিগ আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় হাসিনা সেনা বাহিনী, বিশেষভাবে তরুণ সেনা অফিসারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন জঙ্গি রাষ্ট্র, জঙ্গিদের অভয়ারণ্য। মহম্মদ ইউনুস জঙ্গিদের দিয়ে সরকার চালাচ্ছেন। প্রশাসনের সর্বত্র তারা ছড়ি ঘোরাচ্ছে। এই সরকার, প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে ডাক পাবেন না।’ হাসিনা বলেন, শান্তি রক্ষা মিশনে কোনও সেনা বাহিনীকে নেওয়ার আগে দেখা হয় তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের সঙ্গে কাজ করার অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতন, দেশবাসীর প্রতি অন্যায়, অবিচারে সহযোগিতা করার নজির আছে কি না। হাসিনা আরো বলেন, আমি বিশেষভাবে আমাদের তরুণ সেনা অফিসারদের বলব, এই জঙ্গি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন না। আওয়ামী লিগ নেত্রী বলেন, ইউনুস দাগি জঙ্গিদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়েছেন। এমনকী হোলি আর্টিজানে হত্যাকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই একই সুরে ইউনুস প্রশাসনকে দাগলো আমেরিকা। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ক্রমাগত বাংলাদেশের একের পর এক জঙ্গিকে জেল মুক্ত করা হচ্ছে। সম্প্রতি, ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ট্রাকবোঝাই অস্ত্র পাচারের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড মকুব হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর-সহ ছ’জনের। ২০ বছর পর বুধবার ছাড়া পেয়েছেন ছয় অভিযুক্ত। তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে সপ্তম অভিযুক্ত তথা ভারতের সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন আলফা-র প্রধান পরেশ বড়ুয়ার। আলফার কুখ্যাত জঙ্গি নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল ইউনুস সরকার শাসিত বাংলাদেশের কোর্ট। অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে বাবরের পাশাপাশি ছ’জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ছ’জন আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এরপরই হাসিনার সুরেই বাংলাদেশকে জঙ্গি দেশ আখ্যা দিল আমেরিকা। প্রসঙ্গত ৫ অগাস্টের আগে সেনার তরুণ ও মাঝবয়সি অফিসারদের বড় অংশ সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠকে বিদ্রোহের সুরে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা বিক্ষুব্ধ জনতাকে আটকাতে গুলি চালাতে পারবেন না। ৩ অগাস্ট ঢাকার সেনা নিবাসে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকের পর সেনা প্রধান বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে সেনা বাহিনী জনগণের পাশে থাকবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গুলি চালাতে অস্বীকার করার পিছনে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনের হাতছানি একটি কারণ ছিল। বিদেশে শান্তি মিশনের ডেপুটেশনে গেলে বিপুল অর্থ উপার্জন করা যায়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা শান্তি রক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি। ওই বাহিনীতে যোগদানের সুযোগ পেতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে প্রতিযোগিতা এবং ধরাধরি চলে।
ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল সে দেশের অন্তবর্তী সরকার। যদিও ভারতের তরফে...
Read more
Discussion about this post