সোমবার অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। সেখানে দুই দেশের সম্পর্ক মেরামতি নিয়ে একাধিক বৈঠক করেন দুই দেশের প্রতিনিধি দল। এই প্রসঙ্গে ফের মঙ্গলবার মন্তব্য করল আমেরিকা। মঙ্গলবার আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রতি সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেন। মিলারকে বিক্রম মিশ্রির বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, “আমরা তাকিয়ে রয়েছি সব পক্ষ শান্তিপূর্ণ ভাবে তাঁদের মতবিরোধ কাটিয়ে উঠবে”। এদিকে প্রেসিডেন্ট ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পরেই সুর বদলাল ওভাল অফিস। বুধবার আমেরিকার বিদেশ দফতর স্পষ্ট ভাষায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়ে দিল, কোনও পরিস্থিতিতেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এবং অধিকারে হস্তক্ষেপ করা চলবে না। সম্প্রতি তিন দফায় বাংলাদেশের ১৬৭ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। আমেরকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত পটেল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা চাই সব সাংবাদিকের স্বাধীনতা ও অধিকারকে যথাযথভাবে সম্মান দেখানো হোক।’’ জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট সরকারের আমলে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলকে স্বাগত জানিয়েছিল ওভাল অফিস। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে ইউনূস সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা ট্রাম্প। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার সরকার বাংলাদেশ সম্পর্কে কী অবস্থান নেবে, বিদায়ী সরকারের বিদেশ দফতরই সেই দিশানির্দেশ দেখিয়ে দিয়েছে বুধবার। শুধু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সওয়াল নয়, ইউনূস সরকারকে বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন পটেল। ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ধরপাকড়-হামলার প্রসঙ্গ তুলে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের মন্তব্য— ‘‘আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমত পোষণ করতে পারার অধিকারকে সমর্থন করি। আমেরিকা মনে করে, কোনও গণতন্ত্রিক পরিবেশের জন্য এগুলি অপরিহার্য।’’ প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সফরে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে মিলে সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছিলেন, সেই সঙ্গে তিনি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং সংখ্যালঘু উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। অন্যদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মহম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় এলে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। দেওয়া হয়েছিল সবরকম সাহায্যের আশ্বাস। তবে ইউনূসের সরকারের ১০০ দিনে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়েছে ওপার বাংলায়। এই আবহে এবার বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুলল আমেরিকা। জানানো হয়েছে, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দমনমূলক নীতির প্রতি সমর্থন নেই তাদের।
গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন রসায়ন খুবই মধুর হতে শুরু করেছে। প্রায় ৫০...
Read more
Discussion about this post