পাঁচ বছরের বিরতির পর দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে বুধবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল৷ গালওয়ান প্রদেশে দু’দেশের সেনা সংঘর্ষে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর বড় প্রভাব পড়ে৷ দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল বড় আকার নেয়৷ দুই দেশের সীমান্ত নিয়ে এই টানাপোড়েনের কারণে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বন্ধ ছিল ‘স্পেশাল রিপ্রেজেন্টেটিভ’ বৈঠক ৷ সেই বৈঠকে ২০১৯-এর পর যোগ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বেজিং পৌঁছন অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন একটি দল৷ শেষ ২০১৯ সালে দিল্লিতে হয়েছিল এই বৈঠক৷ এবার এতদিন পর চিনের স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছিল এই বৈঠক। এই বৈঠকের পর পরই বাংলাদেশের চট্টগ্রামে গোপনে পা রেখেছে আরাকান আর্মি। মঙ্গলবার এমনই খবরকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল বাংলাদেশে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে চট্টগ্রামের টেকনাফ উপজেলার কিছুটা অংশ নিজেদের অধিকারে নিয়েছে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। তবে চট্টগ্রামে পা রাখার আগে বাংলাদেশের বিজিবির সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু আরাকারদের তীব্র হামলাতে শেষপর্যন্ত পিছে হটতে বাধ্য হয় বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। মুলত ওই অঞ্চলটি গভীর অরণ্য-পাহাড় ঘেরা হওয়ায় বাংলাদেশি সেনার চেয়ে আরাকান যোদ্ধাদের যুদ্ধ পরিচালনার দক্ষতা অনেকটাই বেশি। তাই এরকম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আরাকানদের বিরুদ্ধে বেশিক্ষণ প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি বিজিবির পক্ষে। এমনটাই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞমহল। যদিও চট্টগ্রামের জমি হাতছাড়া হওয়ার পর এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খুলতে চায়নি ঢাকা। নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতেই সত্যি গোপন করছে ইউনূস সরকার, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। ভারতের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে ঝগড়া করতে গিয়েই নিঃশব্দে বিপদকে কাছে টেনে আনলো ঢাকা। গত ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সীমান্ত সংলগ্ন মংডু শহর দখল নিয়েছে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। চট্টগ্রাম সীমান্তে বয়ে চলা নাফ নদীর পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এই গোষ্ঠীটি। রোহিঙ্গা অধুষ্যিত রাখাইন প্রদেশ থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এই মুহূর্তে সবথেকে বড় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এখন বাংলাদেশিদের কাছে আতঙ্কের অপর নাম আর নাফ নদী । কারণ কোনও বাংলাদেশি দেখলেই গুলি চালাতে এক সেকেন্ডও ভাবছে না আরাকাররা। তবে এবার টেকনাফের পর চট্টগ্রামের অন্যান্য উপজেলা বান্দারবন, রাঙামাটি ও কক্সবাজারের মতো জায়গাগুলিতেও আরাকানদের থাবা পড়তে পারে বলেই মনে করছে সামরিক বিশেষজ্ঞেরা। এমনকী বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ সেন্ট মার্টিনেও হামলা চালাতে পারে আরাকানেরা। সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সঙ্গে মায়ানমারের ২৭১ কিলোমিটারের সীমানা রয়েছে। বাংলাদেশের বান্দরবান, রাঙামাটি ও কক্সবাজারের মতো তিনটি জেলা রয়েছে মায়ানমারের ঠিক পাশেই। এই সীমান্তবর্তী জায়গাগগুলিতেই বর্তমানে আরাকান তাঁদের দাপট দেখাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের কী সাহায্য করছে বাংলাদেশের ভিতরের কেউ? বারবার উঠে আসছে কুকি চিন বা কেএনএফ এর নাম।
গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন রসায়ন খুবই মধুর হতে শুরু করেছে। প্রায় ৫০...
Read more
Discussion about this post