আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি দেশই এখন শিরোনামে। তা হল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পালাবদল, তারপর নতুন সরকার গঠন। দেশের অভ্যান্তরে অস্থির পরিস্থিতি। এইবার আরাকান আর্মি। গোটা দেশই এখন আলোচিত। এরমধ্যেই একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এল। তা হল মায়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র মজুত করছে আরাকান আর্মি। আরও একটি গুরত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে তা হল, আর্মিনিয়া বনাম আজারবাইজান। আজারবাইজান ভারতের থেকে অস্ত্র চাইছে। কারণ ভারত আর্মেনিয়াকে অস্ত্র দিয়েছিল। এইবার তা দেখে আজারবাইজানও ঊারতের কাছ থেকে অস্ত্র চাইছে। আদেও কি ভারত তাদের অস্ত্র দেবে, সেই নিয়ে আলোচনা করব আজকের প্রতিবেদনে।
চট্টগ্রাম লাগোয়া অঞ্চলে আরাকান আর্মিরা। যত দিন যাচ্ছে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করছে তারা। উন্নত অস্ত্র আমদানি করছে। ইতিমধ্যেই মায়ানমার থেকে প্রচুর অস্ত্র নিচ্ছে আরাকান আর্মিরা। পাশাপাশি তারা একাধিক দেশ থেকে অস্ত্র কেনার কথা ভাবচ্ছে। যা নিয়ে চরম বিপাকে বাংলাদেশের তদারকি সরকার।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের বেশ খানিকটা রয়েছে রাখাইন রাজ্য এবং খানিকটা বাংলাদেশের মধ্যে। শোনা যাচ্ছে, যে বোমা বর্ষণের কথা প্রকাশ করেছে আরাকান আর্মি, তা বাংলাদেশের মধ্যে হয়েছে বলে দাবি তাদের। যদিও বর্ডার থেকে খুব বেশি ভিতরে নয়। তবে বাংলাদেশের মধ্যে এই ধরণের খবর সামনে এলে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম তা একেবারে স্পষ্ট করে জানাতো। বা দেশের অভ্যান্তরে একটি শোরগোল পরিস্থিতি তৈরি হত। তবে এই ভিডিও প্রকাশের পর অনেকে বলছেন, আরাকান আর্মির এই সুরায়াত। তারপর ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়, তার উত্তর দেবে সময়। তবে বাংলাদেশের সরকার আরাকান আর্মি নিয়ে যতই চুপ করে থাকুক, বাংলাদেশের মাটিতে যে আঘাত এসেছে, তা নিশ্চিত। অন্যদিকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের দাপট দেখা যাচ্ছে। তাও অস্বীকার করার মতো নয়। রোহিঙ্গাদের বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশ সরকার এরপরও যদি সতর্ক না হয়, সেক্ষেত্রে দেশের একটি বিরাট অংশ তাদের হাতছাড়া হবে, তা বলাই বাহুল্য। তারমধ্যে আরাকান আর্মি একাধিক দেশ থেকে অস্ত্র কিনছে। ইতিমধ্যেই তারা মায়ানমার সরকারের থেকে জুন্টা সরকার থেকে অস্ত্র পেয়েছে। ধীরে ধীরে শক্তি বৃদ্ধি করছে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছে ইউনূস। কায়রোতে তাদের এই বৈঠক ঘিরে নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ঠিক কোন সমিকরণে দাঁড়িয়ে, সেই নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছিল। এরমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কুয়েতে সফর করেছেন। মোদীর এই কুয়েতে সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহলের একাংশ। তারমধ্যেই এইবার আরাকান আর্মিকে অস্ত্রের জোগান। সূত্রের খবর, আরাকান আর্মিকে অস্ত্র দিচ্ছে চীন। এমনকি চীন আরাকন আর্মিকে ৯৫ শতাংশ অর্থায়ন করছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, কতটা শক্তিশালী হচ্ছে আরাকান আর্মি।
Discussion about this post