বাংলাদেশে পালাবদল হয়েছে। তা কেটে গিয়েছে প্রায় কয়েক মাস। বাংলাদেশের ক্ষমতার রাশ একখন নোবেলজয়ী মহম্মুদ ইউনূসের হাতে। তিনি দেশ যেভাবে চালাচ্ছেন, তাতে মোটেই খুশি নন বাংলাদেশের অভ্যান্তরেই বেশ কিছু দলের একাংশ।এদিকে বাংলাদেশের পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রয়েছেন ভারতে। আমরা এই প্রতিবাদনে আলোচনা করব, কীভাবে চার রাষ্ট্রের একত্রে চেষ্টার ফলে শেখ হাসিনা আবারও তার নিজের জায়গায় ফিরে আসছেন।
ইউনূসের হাতে বাংলাদেশের ক্ষমতা থাকাকালীন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে দেশটিতে। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার অত্যাচারের খবর করছে ভারত-সহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলি। যা বিচলিত করছে বহু মানুষকে। এই নিয়ে চুপ করে থাকেনি ভারত। একাধিকবার ভারতের বিদেশমন্ত্রক বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারকে সাবধান করেছে। কিন্তু কর্ণপাতই করেননি ইউনূস। বরং সেদেশে হয়ে চলা সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের কথা অস্বীকার করেছে বাংলাদেশের তদারকি সরকার। ভারত মিথ্যা প্রচার করছে বলেও গুরতর অভিযোগ আনে তারা। পরে অত্যাচারের ঘটনা স্বীকার করলেও তা কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে ইউনূস প্রশাসন। কিন্তু সেখানকার পরিস্থি্তির উপর লাগাম টানতেই যেন ইচ্ছুক নয় প্রশাসন। তার উপর বাংলাদেশের কিছু কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি ভারত বিদ্বেষী মনোভাব সাধারণ জনগণের উপর উস্কানি দিচ্ছে। তাতে অবশ্য মদত রয়েছে ইউনূসেরও। তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
বাংলাদেশে এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে অনেকেই ফের বলতে শুরু করেছেন শেখ হাসিনার জমানায় ছিল ঠিক। অনেকেই বলছেন, হাসিনার শুধুমাত্র যন্ত্রের মতো সরকার চালাতেন না, তিনি মানবতার প্রতীক। তার দূরদর্শিতা ছিল প্রকট। কীভাবে কোন দেশের সঙ্গে মিত্রতা রাখলে আখেরে বাংলাদেশের উন্নয়ন ঘটবে, সেই দিকেই নজর রাখতেন তিনি। আন্তর্জাতিক স্তরেও হাসিনা তার দেশকে যেভাবে উত্থাপিত করেছেন, তাতে তিনি একজন শক্তিশালী নেতা হিসাবে স্বীকৃত পেয়েছিলেন। এইবার সামনে এল শেখ হাসিনার উপর রয়েছে শক্তিশালী চার রাষ্ট্রের সমর্থন।
ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন। বিশ্ব রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প, নরেন্দ্র মোদী, ভ্লাদিমির পুতিন এবং সি জিং পিং হল এক একটি শক্তি। আন্তজার্তিক কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় রচনা করেছে এই চার রাষ্ট্র প্রধান। শেখ হাসিনার প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে। ট্রাম্পের কৌশলী নেতৃত্ব, মোদির কৌশলগত বন্ধুত্ব, সি জিং পিং-এর উন্নয়নমূলক সহযোগিতা এবং পুতিনের শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থান শেখ হাসিনার ফিরে আসার সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
অনেকেই বলছেন, শেখ হাসিনা তার দেশে ফের ফিরে আসবেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে। আবারও তিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশে অভ্যান্তরে বিশৃঙ্খলা নয়, দেশের একটি বিরাট অংশ আরাকান আর্মির হাতে দখলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন ইউনূস। যা লাগাম টানতে তিনি ব্যর্থ হবেন। সেই জায়গায় শেখ হাসিনাই একমাত্র ভরসা বাংলাদেশের, মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তবে এখন দেখার, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জটিলতা কাটিয়ে, দেশের সংবিধান আইন মেনে কীভাবে নিজের দেশে পা রাখেন শেখ হাসিনা! তবে তার প্রত্যপর্নে এই চার দেশ যে পাশে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।
Discussion about this post