কিছুটা আঁচ আগে থেকেই করা যাচ্ছিল, এবার সেটাই হতে চলেছে। পরিবর্তনের বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটাই বাদ দিতে চায় মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসন। বৃহস্পতিবার মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ হাইকোর্টে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী বাতিলের জন্য সওয়াল করে এবিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের সংবিধানে যে পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়েছিল, সেটার বিরোধিতা করে হাইকোর্টে যে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, সেই মামলার শুনানিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের বুকে কুঠারাঘাত করা হয়েছে।’ তবে প্রাথমিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে তিনি তুলে ধরেন ‘মৌলিক অধিকারের’ প্রশ্ন। এরপরই অ্যাটর্নি জেনারেলের মন্তব্য, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটা রাখার দরকার নেই। এই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। আগে আল্লার প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের কথা ছিল।’ এখনও সেই বিষয়টা ফিরিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাইকোর্টে শুনানির সময় অনুচ্ছেদ ২(ক)-র কথা তুলে ধরে অ্যাটর্নি জেনারেল যুক্তি দেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হল ইসলাম। কিন্তু সেখানকার হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও যাতে নিজেদের ধর্ম পালন করতে পারেন এবং তাঁরাও যাতে সমানাধিকার পান, সেটা নিশ্চিত করার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। প্রসঙ্গত, হাসিনার জমানায় ২০১১ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হয়েছিল। ওই সংশোধনীতে সংবিধানে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়। বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের জমানায় ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা’র উল্লেখ থাকলেও পরবর্তী সময় জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং জেনারেল হুসেন মহম্মদ এরশাদের আমলে ‘কোপ’ পড়েছিল ধর্মনিরপেক্ষতায়। পঞ্চদশ সংশোধনীতে ওই চারটি বিষয় ‘মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতি’ হিসাবে পুনর্বহাল করা হয়েছিল। কিন্তু এনিয়ে শুনানিতে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল স্পষ্ট করেন, বাংলাদেশে আর মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতান্ত্রিক চেতনার দরকার নেই।
দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান। এই সফরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের...
Read more
Discussion about this post