বাংলাদেশের জনগন কাকে বিশ্বাস করবে, এটা তাদের হাতে আছে কি? ভাবছেন-এতদিন তো জেনে এসেছি কে কাকে বিশ্বাস করবে, তা তো তার মনের ব্যাপার। যাকে যার বিশ্বস্ত মনে হবে সে তাকেই বিশ্বস করবে। তহলে এখানে এই প্রশ্ন আসছে কেন? আসছে এই কারণে, হাসিনাকে ক্ষমতায় এনেছেন বাংলাদেশের জনগন, যদি বলেন তিনি জোর করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন- তাহলে তা প্রমান করা প্রয়োজন, আর তা প্রমান করতে হলে, সবার আগে প্রয়োজন ভোট করানো এবং আওয়ামিলীগকে ভোটে লড়তে দিয়ে-গনতান্ত্রিক উপায়ে ভোটের মাধ্যমে তাদের হারানো, তবেই বোঝা যাবে হাসিনা জোর করে ক্ষমতা দখন করেছেন না মানুষের ভোটে জিতেছেন। তাই ভোট না করানো পর্যন্ত জোরকরে হাসিনাকে স্বৈরাচারী বলা যায়। কিন্তু প্রমান করা যায় না। আর এই আন্দোলনকারী ছাত্ররা ভুল বলে এবং ভুল বুঝিয়ে মানুষকে তাদের আন্দোলনে সামিল করেছিল।আন্দোলনের সময় তারা বলেনি ৭২ এর সংবিধানকে বাতিল করে কবর দেওয়া হবে। ৪৭ এবং ২৪এর আন্দোলনকে মান্যতা দেওয়া হবে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকে ভুল এবং মুজিববাদ বলা হবে। আন্দোলনের সময় যে ৭১এর স্বাধীনতার গান বাজানো হত, আন্দোলন শেষে সেই ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে সামিল হয়ে, রাজাকারদের হাতে ৩০ লক্ষ্য মানুষের মৃত্যু এবং লক্ষ্য লক্ষ্য নারীর সম্মানহানিকে যুক্তিযুক্ত বলে মেনে নিয়ে, পাকিস্তানের পক্ষ্যে থাকা রাজাকারদের, সঠিক ছিলেন বলে মেনে নেওয়া হবে।
যারা এক সময় শেখ মুজিবরকে নিয়ে গর্ব করত, আজ তারা তাকে স্বৈরাচারী এক নায়ক ক্ষমতালোভী মুজিববাদ প্রতিষ্ঠাকারী হিসাবে তুলে ধরছে। তিনি নাকি বাংলাদেশকে বিদেশীদের কাছে ইজারা দিয়েছিলেন, এই কথা বলছেন কে? এই কথা বলছেন সেই ছাত্রনেতা, যিনি কিছুদিন আগে মুজিবের গুনগান করতে করতে থামতেন না, তো চলুন আগে কি বলেছেন আর এখন কি বলছেন, কেন বলছেন একটু মেলাবার চেষ্টা করি।………….
১৯৭৫ এ হাসিনা যখন দেশত্যাগী ছিলেন, তখনও বিরোধীদের কেউ শেখ মুজিবরকে, বঙ্গবন্ধু মুজিবর বলায় কোন আপত্তি করেন নি। বিরোধীরা তার বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব মুছে দিতে চেষ্টা করেন নি। তাদের হাসিনাকে নিয়ে অনেক আপত্তি থাকতে পারে, কিন্তু তার জন্য মুজিবরের মুর্তি বা ছবি ড্রেনে ফেলার সাহস কেউ দেখান নি, এমনকি এখনও বিএনপি যারা বিরোধী দল হিসাবে বর্তমান তারাও এটাকে ঠিক বলে মেনে নিচ্ছেন না। তাহলে জনগনের দ্বারা ভোটে না জিতেই জননায়কের মুর্তিকে এবং তার আন্দোলনকে কেন আঘাত করা হচ্ছে।………..
বার বার বলা হচ্ছে ভারত অত্যাচার করছে, সত্যিই কি তাই? কি অত্যাচার করেছে ভারত? ১৯৭১ এ পাকিস্তানের মত অত্যাচার করেছে কী? ত্রিশ লক্ষ্য নীরিহ জনগনকে হত্যা করেছে? নাকি বাড়়ীর মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানের মত অত্যাচার করেছে? ভারতের দোষ হল, বাংলাদেশের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে। তার জন্য সেখানে অফিস খুলেছে, লোক পাঠিয়েছে, নতুন নতুন ব্যবসার দিক খুলে দিয়েছে।আর এটাই বাংলাদেশেী মৌলবাদীদের কাছে অত্যাচার। আর যারা বলেছিল আবৈধভাবে ২৬লক্ষ্য ভারতীয় সেখানে বসবাস করছে, তারাই তো এখন ক্ষমতায়। তো তারা সেটা এখন প্রমান করছেন না কেন? বাংলাদেশের মেধা স্বাস্থ্য শিক্ষার মান কতটা সেটা কি তারা জানে না? ছোট খাটো অসুখ করলেও ভারতের ভিসার জন্য লাইন দিতে হয় কেন ? ভেবে দেখেছেন কোনদিন ? নাকি বলবেন এটাও ভারতের কারসাজি আপনাদের শিক্ষা গ্রহনে বাঁধা দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশী মৌলবাদীরা কি এটা মনে করছেন ? চীন যেমন পাকিস্তানিদের দিয়ে তাদের জুতো সাফ করায়, ভারতও যদি বাংলাদেশীদের দিয়ে একই কাজ করত, তাহলে সেটা হত আপনাদের জন্য সঠিক স্বাধীনতা? ভারত সেটা করেনি, উল্টে বাংলাদেশের সব জায়গায় দূতাবাস খুলে, তাদের বিভিন্ন দেশে পড়তে যাওয়ার সূযোগ করে দিয়েছে। অথচ সেই ছাত্ররাই প্রশ্ন তুলছে, বাংলাদেশে এত অফিস কেন খুলেছে ভারত? এই সবের মাধ্যমে ভারত নাকি বাংলাদেশকে তাদের অঙ্গ রাজ্য বানিয়ে ফেলেছে। সেই কারণেই তাদের ক্ষোভ পড়েছে ভারতের উপরে। হিন্দুদের উপরে। আর এই ভুলটা বুঝতে পেরেছেন সেনাপ্রধান, সেই সঙ্গে এটাও বুঝেছেন তদারকী সরকার কি চাইছে। তাই ইউনূস যখন তার প্রভুর কথা বলছেন। প্রভুরা যা বলতে বলছেন তাই বলেছেন। সেনাপ্রধান তখন ভারত এবং চীন তাদের কাছের প্রতিবেশী হিসাবে,তাদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ না করার হুশিয়ারী দিচ্ছেন ইউনূসকে।
Discussion about this post