বেশ কিছুদিন আগে পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চর্চার একটি বিষয় উঠে আসছিল। তা হল আমেরিকাতে ট্রাম্প বসার পরই নাকি হাসিনা নিজের জায়গায় ফিরে যাবেন। সেই দিকে পরিস্থিতি কি তবে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে? তবে নতুন বছর পরতেই বাংলাদেশে হাসিনার অনুপস্থিতি থাকলেও তাঁর খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে দেশের অন্দরে, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অন্যদিকে থেমে নেই খালেদা জিয়া। নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, তা বোঝায় যাচ্ছে। অন্যদিকে কি করণীয় মুহম্মুদ ইউনূসের?
বাংলাদেশের অন্দরে গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে। প্রথমে জল্পনা শুরু হয়েছিল, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক। তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বৈঠক শেষে দু পক্ষই জানিয়েছে, যে এটি একটি সৌজন্যমূলক বৈঠক ছিল। কূটনৈতিক আলোচনা প্রসঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই কেউ মুখ খোলেননি। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি নির্বাচনে ইউনূসের গদি চলে যায়, তবে সেনাপ্রধানের আবারও ভূমিকা থাকতে পারে। এখানেই প্রশ্ন, তবে কি সেই জায়গা থেকেই এই বৈঠকটি হচ্ছে? আরও এই জল্পনা উস্কে দিচ্ছে। এই বৈঠকের পরে আরও একটি বড় ঘটনা ঘটেছে। তা হল, কোটা বাতিলের দাবিতে আবারও উত্তাল হতে পারে বাংলাদেশ। তবে কি হাসিনার দেখানো পথেই ফের ইউনূস? অর্থাৎ, যে কোটা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে হাসিনা সরকারের পতন থেকে তাঁর দেশ ছাড়া, সেই আন্দোলনকেই আবার জাগ্রত করে তোলা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে শক্তিশালী একাধিক রাজনৈতিক দলগুলির মদত রয়েছে, তা এতদিনে বুঝে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে তাদের পরে আর কোনও ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে যে মুহূর্তে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠক হল, তারপরই কোটা বিরোধী আন্দোলনের জিগির তোলা হল বাংলাদেশের অন্দরে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বিরোধী জায়গা বন্ধ করতে হবে। সামনে পরীক্ষা রয়েছে। রবিবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তা না হলে বাংলাদেশকে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এই আন্দোলন শুধুমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে থেমে থাকবে না, গোটা বাংলাদেশেই এর তীব্রতা ছড়িয়ে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য। তবে এইবার আর হাসিনা সরকার নেই, ইউনূসের বিপক্ষে আন্দোলন হবে। অর্থাৎ, যে ইউনূসকে বাংলাদেশের সিংহাসনে বসানোর জন্য খালেদা জিয়ার ভূমিকা ছিল, তাকে উৎখাত করতেও ভূমিকা থাকবে খালেদা জিয়ার। অন্যদিকে, হাসিনাকে পতনের জন্য জামাতের একটি বড় ভূমিকা ছিল, সেই জামাতকেও কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল? এমনকি আবারও কি বাংলাদেশ উত্তাল হবে আন্দোলনের জেরে? এর পিছনেও কি রাজনৈতিক দলগুলি থাকবে? তবে স্থায়ী সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে বিএনপি, তা নিশ্চিত। অন্যদিকে কি করণীয় মুহম্মুদ ইউনূসের? এখন সেটাই দেখার।
Discussion about this post